ফারুক আহমদ, উখিয়া :

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩ বিদেশী সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় ১১ জন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আইনশৃংখলা বাহিনী আটক করেছে। শুক্রবার ভোর রাতে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প ও লম্বাশিয়া ক্যাম্পে পুলিশ-বিজিবি ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে হামলার ঘটনায় জড়িত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করা হয় বলে জানা গেছে। আটককৃতরা হল, উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে ডি-৪ ব্লকের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান (২৫), একই ব্লকের মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মুছা আলম (৫০), ক্যাম্প-১ এর সি-২ ব্লকের আমির হোসনের ছেলে নুরুল হাকিম (১৮), সি-২ ব্লকের মকবুল আহমদের ছেলে জিয়াবুল হক (২৮), মৃত জহির আলমের ছেলে রিয়াজ (৪০), আলী হোছনের ছেলে জালাল হোছন (৩০), ক্যাম্প-১ ই-এর মৃত ছলিম উল্লাহর ছেলে খাইরুল আমিন (২৮), মৃত জহির আলমের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিস (২৮), মৃত ইমাম উদ্দিনের ছেলে আবু তাহের (৪৫), কালু মিয়ার ছেলে ছৈয়দ আলম (৪০) ও ফয়েজের ছেলে রফিক (১৮)।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের জানান, জার্মানের ৩ সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় উখিয়া থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নম্বর- ৪০, তারিখ- ২১/০২/২০১৯ইং। আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। গত ২১ ফেব্রুয়ারী (বৃহস্পতিবার) দুপুরে কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট এর লম্বাশিয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তিনজন জার্মান সাংবাদিক ও একজন বাংলাদেশি দোভাষী এবং গাড়ির ড্রাইভার।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, জার্মান সাংবাদিকরা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশন থেকে সংবাদ সংগ্রহ শেষে ফেরার পথে লম্বাশিয়ায় বাজারে এক রোহিঙ্গা পরিবারকে জমা কাপড় কিনে দিচ্ছিলেন। এই সময় সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে জাকির হোসেন নামে এক পুলিশ সদস্যও রোহিঙ্গাদের হামলায় আহত হন। রোহিঙ্গারা বিদেশীদের ব্যবহৃত গাড়ি ভাংচুর করে। হামলাকারীরা ক্যামেরা, কাগজপত্র (পাসপোর্ট) ও নগদ ১২/১৩ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে সেনা ক্যাম্পে হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা দেওয়া হয়। জার্মান সাংবাদিকেরা হলেন ইয়োচো লিওলি, এস্ট্যাটিউ এপল ও গ্রান্ডস স্ট্যাফু। তাদের বাংলাদেশী দোভাষী হলেন মোঃ শিহাব উদ্দিন (৪১) ও গাড়ির চালক নবিউল আলম (৩০)। ঘটনার খবর পেয়ে উখিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম, উখিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের ও সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প গুলোর ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জার্মান টেলিভিশনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি শিহাব উদ্দিন বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।