ডেস্ক নিউজ:
জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেছেন, আমাদের দিনাজপুরে সপ্তম ,অষ্টম নবম ও দশম শ্রেণির মেয়েরা ইয়াবায় আসক্ত, মাদকে আসক্ত। তারা হেরোইন, ফেনসিডিল সেবন করছে।

হুইপ আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করতে পারি না। আমাদের সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির ছেলে-মেয়েরা ৮/১০টি সিম ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে। ৮/১০ জন বন্ধুর সঙ্গে মিট করছে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছি, বঙ্গবন্ধুর বাংলার কথা বলছি কিন্তু আমরা যদি আমাদের সন্তানদের নীতি-আদর্শ বুঝাতে না পারি তাহলে তারা বড় ডিগ্রি নিয়ে সমাজকে দেশকে আলোকিত করতে পারবে না।

যার এ দেশকে পাকিস্তান বানানোর স্বপ্ন দেখে, দেশকে ধ্বংস করতে চায় তারা আর যাই হোক দেশের বন্ধু হতে পারে না। মাদক ব্যবসায়ী ও জঙ্গিরা জামিন পেতে পারে না। যদিও জামিন দেয়া না দেয়া আদালতের এখতিয়ার ।

বুধবার দিনাজপুর আইনজীবী সমিতির নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আমি নৌকার মাঝি, আপনারা নৌকার যাত্রী। মাঝি জানে না নৌকা কোন ঘাটে ভিড়বে। নৌকার যাত্রীরাই বলে দেবেন নৌকা কোন ঘাটে ভিড়বে। আর যদি তা না বলেন তাহলে নৌকা কোনো ঘাটে ভিড়বেও না, নৌকার নিরুদ্দেশ যাত্রাও শেষ হবে না। এটা হলে আমাদের যে লক্ষ্য, শেখ হাসিনার যে লক্ষ্য তা কোনো দিনই পূরণ হবে না। তাই আপনারা আমাকে আপনাদের জ্ঞান বুদ্ধি দিয়ে সহযোগিতা করবেন। পরামর্শ দেবেন। আপনাদের ভালোবাসা থেকে আমাকে বঞ্ছিত করবেন না।

তার বাবা প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট এম আব্দুর রহিমের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, খাওয়ার টেবিলে বসে আমার বাবা আমাদেরকে কম খেতে বলতেন। তিনি বলতেন কম খাও না হলে ভবিষ্যতে রাজনীতি করবা, বড় নেতা হবা তখন নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবা না। তখন চাল খাবা, গম খাবা, ডিম খাবা। নফসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবা না। এই পারিবারিক শিক্ষা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে।

আইনজীবীদের উদ্দেশে হুইপ বলেন, পেশার বাইরে গিয়ে সামাজিক কাজ করতে হবে। পাড়ায় মহল্লায় মসজিদে গিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আপনাদেরকে কাজ করতে হবে।