শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,কক্সবাজার সদর :

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও ইউনিয়নে পুজা উদযাপন কমিটির সম্মেলন নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করেছেন ভোটাররা।এ নিয়ে তাদের মধ্যে অজানা আতংক বিরাজ করছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। সম্মেলন স্থগিত চেয়ে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছে বর্তমান সভাপতি সসীম শর্মা।তার লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,সম্প্রতি ঈদগাঁও ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয়ভাবে মঠ মন্দিরের তালিকা করা হয়। কিন্তু উক্ত তালিকায় সংখ্যা গরিষ্ঠের আপত্তি থাকায় সদর উপজেলা শাখার সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মন্দিরের তালিকা প্রণয়নের নিজেরা দায়িত্ব নেয়।তারা দায়িত্ব নেওয়ার পর কিছু ধান্দাবাজ ও পদ লোভী নেতার ইশারায় সরেজমিনে না গিয়ে এবং কারো কোন প্রকার মতামত না নিয়ে তাদের ইচ্ছেমত একটি মঠ-মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও সেবায়েতের নাম গত ১৭ ফেব্রুয়ারী তারিখ তৈরী করে। অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন উক্ত তালিকা স্থায়ীভাবে কাউকে হস্তান্তর করে নাই,কারো মতামতও নেওয়া হয়নি।স্থানীয় ভাবে কোন বাসিন্দার নিকট যাচাই বাচাইও করে নাই।উক্ত তালিকায় পারিবারিক আসন ঘরকে মন্দির বানানো হয়েছে। যা ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সম্মেলননে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজনরা।সদর উপজেলা কর্তৃক প্রণীত তালিকায় অনেক মন্দিরের অস্তিত্ব নেই।পারিবারিক আসন ঘর এবং কোন কমিটি কিংবা মন্দিরের নামে কোন স্বত্ব নাই।শুধু মাত্র সম্মেলনে নিজেদের পক্ষে ভোট বাড়ানোর জন্য সদর উপজেলা কমিটির সাথে কিছু ধান্দাবাজ স্থানীয় নেতা আতাত করে এ গোপন তালিকা প্রনয়ণ করেছে।সসীম শর্মা অভিযোগ বলেন, এ তালিকার ভিত্তি কি? কে অনুমোদন দিয়েছে কিংবা স্থানীয় ইউনিয়ন কমিটির মতামত নেওয়া হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।তিনি বলেন, অতিসত্বর এ তালিকা বাতিল করে সরেজমিনে গিয়ে দৃশ্যমান অস্তিত্ব থাকা মন্দিরের তালিকা প্রণয়ন করা আবশ্যক এবং আসন্ন ইউনিয়ন সম্মেলন মন্দিরের তালিকা চুড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখতে হবে। অন্যথায় স্থানীয়ভাবে চরম সংঘাত সৃষ্টি হবে।উপরোক্ত কারণে সম্প্রদায়ের সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে উপজেলা কমিটির সভাপতি সম্পাদক কর্তৃক প্রণয়নকৃত তালিকা বাতিল ও সরেজমিনে গিয়ে দৃশ্যমান মন্দিরের তালিকা প্রণয়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি, সম্পাদক বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।জেলা সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা অভিযোগের আবেদনটি গ্রহণ করেন।এদিকে এমন পরিস্থিতিতে সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন দের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। সাধারণ ভোটারগন রয়েছে উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায়।এ ব্যাপারে জানতে সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক দাশের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। সংযোগ না পাওয়া বক্তব্য নেওয়া হয়নি।পরে বক্তব্য পাওয়া গেলে গুরুত্বসহকারে ছাপানো হবে।