ডেস্ক নিউজ:
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) গুরুত্বপূর্ণ দু’টি কোম্পানি। দেশটির লুলু গ্রুপ ইন্টারন্যাশনাল ও এনএমসি গ্রুপ বাংলাদেশে ক্যান্সার হাসপাতাল, হোটেল, বিপণী বিতান ও পর্যটন খাতে বিনিয়োগের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেছেন লুলু গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইউসুফ আলী মুসালিয়াম ভিত্তিল আবদুল কাদির (ইউসুফ আলী এমএ) ও এনএমসি গ্রুপের চেয়ারম্যান বাভাগথু রঘুরাম শেঠি। দু’জনই ভারতের নাগরিক ও মধ্যপ্রাচ্যের সফল ব্যবসায়ী।

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি সেন্ট রেগিজ হোটেলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিম জানান, বৈঠকে তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহের কথা জানিয়েছে। লুলু গ্রুপের চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী শপিংমল ও ট্যুরিজমে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখেয়েছে।

এ ছাড়া এনএমসি গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে দুটি হাসপাতাল করার কথা জানান। একটি ক্যান্সার হাসপাতাল আরেকটি হৃদরোগ নিরাময়ের।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শুল্কমুক্ত সুবিধাসহ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য খুবই আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ।’

বৈঠককালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. নজিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস সচিব এহসানুল আরও করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জমি ও সবরকমের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। শিগগিরই তারা রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাহিরে জমি দেখতে ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরির জন্য বাংলাদেশ সফর করবেন।

আবুধাবিভিত্তিক লুলু গ্রুপ মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের সবচেয়ে বড় রিটেইলার। সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন, সৌদি আরব, ওমান, ইয়েমেন ও মিসরে ছড়িয়ে আছে লুলু গ্রুপের হাইপারমার্কেট চেইন। ১৪৪টি হাইপারমার্কেটের পাশাপাশি লুলু গ্রুপের আছে স্টোর ও শপিংমল চেইন, হোটেল চেইন, ফুড প্রসেসিং, ডিস্ট্রিবিউশন, ট্রেডিং, ট্যুরিজম ও শিপিং ব্যবসা। এনএমসি একইভাবে মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ করে আরব আমিরাতে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত।

উল্লেখ্য, গত ১৫ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিতে জার্মান সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে অংশ নেয়ার পাশাপাশি জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন। চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই তার প্রথম বিদেশ সফর।