প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,
আসসালামু আলাইকুম।
আমি এ.কে,এম মনজুরুল করিম সোহাগ পিং মৃত মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার আবদুস শুকুর ঠিকানা-অলিয়াবাদ, টেকনাফ – স্বনামধন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান একুশে ট্রেড সলিউশন এন্ড কন্সট্রাকসনের স্বত্ত্বাধিকারী। এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গত তিন অর্থবছরে সরকারকে ৪,৯২,২১৬ টাকা আয়কর দিয়েছে।
পাশাপাশি আমি টেকনাফ উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সদস্য এবং অলিয়াবাদ গাঃ জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির দু’বারের সাধারণ সম্পাদক। তাছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী-যুবলীগ টেকনাফ পৌর শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে ক্লিন ইমেজ নিয়ে সংগঠন পরিচালনা করে প্রশংসিত হয়েছি।
যে ক’জন ব্যক্তি টেকনাফে ইয়াবা আগ্রাসনের শুরু থেকে ইয়াবার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন আমিও  তাদের মধ্যে একজন। মাদকবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৮/০৪/২০১৭ এবং ১২/১১/১৭ তারিখ জেলার বহুল প্রচারিত দৈনিক সাগর দেশ পত্রিকায় একাধিক সচেতনতামূলক কলাম লিখেছি। ব্যক্তিগত অর্থব্যয়ে টেকনাফ উপজেলা গেইট এবং টেকনাফ পোস্ট অফিসে দুটি মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক বিলবোর্ড স্থাপন করি।
আমার মরহুম বাবা হাজী মাস্টার শুকুর একজন পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। আমার মরহুমা মা হাজী খালেদা বেগম অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সাত সন্তানকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করায় বর্তমান সরকারের পুরস্কারপ্রাপ্ত।
কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় আজ ১৯/২/১৯ তারিখ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকা ৪র্থ পৃষ্ঠায় ইয়াবা ব্যবসায় আমার নাম জড়িয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করেছেন। আমি এই ধরনের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বিষয়টি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য অত্যন্ত সম্মানহানিকর এবং ষড়যন্ত্রমূলক বলে আমি মনে করি। বর্তমানে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ব্যক্তিকে এই ঘৃণ্য বিষয়ে জড়িয়ে প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও তার পৃষ্ঠপোষকদের আড়াল করার জন্য এই ভৌতিক সংবাদটি প্রচার করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। এই ধরনের হলুদ সাংবাদিকতার কারণে সমাজে যে অল্প সংখ্যক লোক ইয়াবার বিরুদ্ধে সোচ্চার তারাও মাদকবিরোধী কার্যকলাপে নিরুৎসাহিত হবে।
প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা,
আপনার সকলেই আমি এবং আমার পরিবারকে জানেন। প্রথম আলোর মত পত্রিকার এই ধরনের অপসাংবাদিকতার মাধ্যমে আমাদের সম্মানহানির বিষয়টির বিচার মহান আল্লাহ এবং আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম। কেবলমাত্র জীবনঘাতি ইয়াবা নই, আদর্শ মা-বাবার শেখানো পথে যেকোন ধরনের সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কাজে আমি জড়িত নই-তা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি আল্লাহর রহমতে। তারপরও ভবিষ্যতে এই ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক, মানহানিকর মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হলে আইনের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব।
সবাইকে ধন্যবাদ।