সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁওঃ
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী কিশলয় আর্দশ শিক্ষা নিকেতনের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদিন জীবন ঝুঁকি নিয়ে ব্যস্ততম কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পার হয়। এতে প্রায়সময় বেপরোয়া গাড়ির সম্মুখীন হতে হয় তাদের। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এই বিদ্যালয়ের বেশ ক’জন শিক্ষার্থী হতাহত হয়েছে বলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন।
বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে সদর উপজেলার ঈদগাঁও, ইসলামাবাদ, ইসলামপুর, চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী, ডুলাহাজারাসহ ৫ টি ইউনিয়নের প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত রয়েছে। এসব ইউনিয়নের ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু এবং ছুটির পর মহাসড়ক পার হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়। মহাসড়কের কিশলয় স্কুল গেইটের সামনে দুর্ঘটনা প্রবণ এই স্থানটিতে একটি ফুট ওভার ব্রিজ তৈরী করা হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তা আসবে বলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে সোমবার ১৮ ফেব্রুয়ারী দুপুরে জীবন ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক পার হতে দেখা যায়।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, আমরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হই। চকরিয়া- পেকুয়া আসনের মাননীয় এমপি আলহাজ্ব জাফর আলমের নিকট অনুরোধ এখানে একটি ফুট ওভার ব্রিজ করে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষকরা জানায়, আমাদের অনেক ছাত্র-ছাত্রী সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে পঙ্গু হয়েছে। এখানে একটি ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ অত্যন্ত জরুরী।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন আমাদের বিদ্যালয়ে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী সড়ক পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে। তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিদ্যালয় শুরুর আগে এবং ছুটির সময় ডে গার্ডের মাধ্যমে লাল পতাকা উঁচিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের রাস্তা পারাপার করে দেন।
কিশলয় স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন বলেন, উপজেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভায় এই বিষয়টি তুলে ধরে ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করছি। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় এনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একটি ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ করে দিলে আমরা উপকৃত হবো।
এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর উদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, সড়ক নিরাপত্তা কমিটির সভায় শিক্ষার্থীদের জীবন ঝুঁকির বিষয়টি আমি উপস্থাপন করেছি। এ স্থানে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ফুট ওভার স্থাপনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।