মোঃ জয়নাল আবেদীন টুক্কু, নাইক্ষ্যংছড়ি:
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়িতে সহকারী রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু জাফর ছালেহ’র কাছে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ৫ প্রার্থী। সোমবার দুপুরে তারা নিজ নিজ দলের নেতা কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের সাথে নিয়ে এ মনোনয়নপত্র জমা দেন। পাশাপাশি এ অফিসে পুরুষ ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দেন আরো ১০ প্রার্থী।

সহকারী রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু জাফর ছালেহ এ প্রতিবেদককে জানান, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পাওয়া অধ্যাপক শফিউল্লাহ বিকাল ৪ টায় তার মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এরই মধ্যে আরো মনোনয়ন পত্র জমা দেন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রাথী আবু তাহের কোম্পানি, চুচু মং মার্মা,অধ্যাপক ফরিদুল আলম ও নাগরিক কমিটির ব্যানারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল। ভাইস-চেয়ারম্যান (পুরুষ)পদে ইমরান মেম্বার,মওলানা শাহাজান কবির, মংহ্লা মার্মা ও সৈয়দুল বশর ও জহির উদ্দিন। মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দেন ওজিফা খাতুন রুবি,সানজিদা আক্তার রুনা, জোহরা বেগম,শামিমা আক্তার ( ঘুন্নু) ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা চৌধুরী।

তিনি আরো জানান, নাইক্ষ্যংছড়িতে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিল ১৮ ফেব্রুয়ারী, মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই ২০ ফেব্রুয়ারী, প্রত্যাহারের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারী আর নির্বাচন হবে ১৮ মার্চ ২০১৯ ইংরেজি সোমবার।
এদিকে উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সর্বত্র-ই জোরে-শোরে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে নৌকা প্রতীক পাওয়া অধ্যাপক শফিউল্লাহ গতকাল বিকেলে আওয়ামী পরিবারের সদস্যদের সাথে তিনি দলীয় কার্যালয়ের সামনে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

এর আগে তিনি সকালে শুভানুধ্যায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন তার রূপনগরস্থ অস্থায়ী বাসভবনে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে তিনি নিজ পিতা হাজি ছালেহ আহমদ চেয়ারম্যান এবং প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন-পীরে কামেল আবদুল গণির কবর জিয়ারত করেন। এভাবে তিনি নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেন। আর অন্যান্য প্রার্থীরাও নিজের মতো করে তাদের প্রচারণা শুরু করেছেন তাদের নির্বাচনী এলাকায়।