গত কয়েক দিন ধরে বেশ কয়েকটি নিউজ পোর্টাল ও স্থানীয় পত্রিকায় ‘আত্মসমর্পন করছেনা শীর্ষ ২০ জন ইয়াবা গডফাদার’ শিরোনামে ছবি সংযুক্ত করে একই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটির একাংশ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। যা বাস্তবতার সাথে বিন্দুমাত্রও মিল নেই। উক্ত সংবাদে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে আমার নাম ও ছবি ঢুকিয়ে দিয়েছে। যা সম্পূর্ণ মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। যার কারণে আমি এর জোর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। উক্ত মিথ্যা সংবাদটি নিয়ে আমি প্রতিবাদকারী সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমি মুজিব আদর্শের একজন প্রকৃত সৈনিক। দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের রাজনীতি করেছি। জীবিকার তাগিদে সারাক্ষন ঠিকাদারি কাজে ব্যস্ত থাকলেও মুজিব আর্দশের চেতনা থেকে নিজেকে এক বিন্দু পরিমানও দুরে রাখতে পারিনি। সেই হিসেবে শত ব্যস্ততার মাঝেও বর্তমানে আমি কক্সবাজার শহর আওয়ামীলীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। দলের যে কোন দুঃসময়ে ছুটে আসি। সারা জীবন দলের যে কোন দুঃসময়ের কান্ডারি হিসেবে থাকব এটাই সবসময় হ্নদয়ে লালন ও পালন করি। কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় যে, পেশাগত, রাজনৈতিক ও স্থানীয় দুষ্টচক্র আমার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে। তারা নানা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে অপচেষ্টায় লিপ্ত। ইয়াবা গডফাদারের নামের সাথে সংযুক্ত করে আমার নাম এবং ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশও এসব দুষ্টচক্রের ধারাবাহিক অপপ্রচারের অংশমাত্র। অথচ আমি একজন প্রতিষ্ঠিত ও প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার। রাজনীতি ও পেশাগত কাজে ব্যস্ততার জন্য অবসরও মেলে না। বর্তমানে গণপূর্তের অধীনে পেকুয়া, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে বান্দরবান ও কক্সবাজার এবং এলজিইডি’র অধীনে রামুতে আমার প্রতিষ্ঠান ‘মের্সাস কালাম কনষ্ট্রাকশন’ এর কাজ চলছে। দীর্ঘ এক যুগ ধরে আমি সুনামের সাথে ঠিকাদারি পেশায় যুক্ত আছি। বছরে প্রায় ৩০ লাখ টাকা সরকারকে রাজস্বও দিয়ে আসছি। অথচ একজন প্রথম শ্রেনীর প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার হিসেবে যে পরিমান সম্পদ থাকা উচিত তাও আমার নেই। নেই কোন বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, জমি। এখনও বাবার বাড়িতেই আমার বসবাস। আমার বার্ষিক আয়ের সাথে সম্পদের তুলনা করলেই তা পরিস্কার হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা তদন্ত করে দেখতে পারে। এ অবস্থায় কেন বা কিভাবে আমি ‘ইয়াবা ব্যবসার গডফাদার’ (পত্রিকার ভাষায়) হলাম তা বুঝে আসছে না।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে বলতে চাই, আমি যে এলাকায় বসবাস করি সেটা একটা মাদক অধ্যুষিত এলাকা। এলাকায় আমি ইয়াবা বিরোধী অবস্থান নেয়ায় অনেকেই আমার উপর ক্ষুব্দ। তাই মাদক ব্যবসায়ীরাও অনেক সময় হয়রানি করার জন্য বিভিন্নভাবে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে প্রায়শ। এছাড়া সাংবাদিক ও প্রশাসনের কাছে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত থাকে। এর অংশ হিসেবে ইয়াবার সংবাদে কৌশলে আমার নাম ও ছবি যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। যা শুধুমাত্র আমাকে রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়িকভাবে হয়রানি এবং হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য। এছাড়া প্রশাসনের কালো তালিকায় আমাকে চিহ্নিত করার এই অপচেষ্টা। যা দেখে আমি রীতিমতো হতবাক হয়ে পড়ি। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, আমি ইয়াবার সাথে বিন্দুমাত্রও জড়িত নই। বরং এলাকায় আমি ইয়াবা বিরোধী অবস্থান নেয়ায় খোদ ইয়াবা ব্যবসায়ীরাই আমার উপর রীতিমতো ক্ষুব্দ। আমি চ্যালেঞ্জ করছি অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত আছি তার যদি বিন্দুমাত্র প্রমান দিতে পারে তাহলে আমার উপযুক্ত বিচার করা হউক। যারা আমার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার করছে-তারা কি এসবের বিন্দু পরিমান প্রমান দিতে পারবে? আর যদি সেটা প্রমান করতে না পারে তাহলে আমাকে অহেতুক হয়রানী না করুক সেটার জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। পরিশেষে উক্ত মিথ্যা সংবাদ নিয়ে আমি আবারো চ্যালেঞ্জিং প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং মিথ্যা সংবাদে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, সাংবাদিক ও সচেতন মহলকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী

আবুল কালাম

পশ্চিম লাহারপাড়া, বাসটার্মিনাল, কক্সবাজার।