আত্মসমর্পণকৃত অস্ত্র ও ইয়াবার মামলার আসামীদের কেউ রোববার জামিন চাননি : সিআই

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

টেকনাফে শনিবার আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন ইয়াবাবাজদের পক্ষে কেউই রোববার আদালতে জামিন আবেদন করেননি।কক্সবাজারের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক (সিআই) কাজী দিদারুল হক এ প্রতিবেদককে রোববার বিকেল চারটা দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কক্সবাজার আালতের কোর্ট পরিদর্শক কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে-টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শরীফ ইবনে আলম বাদী হয়ে আত্মসমর্পণকৃত ১০২ জন ইয়াবাবাজদের পৃথক দু’টি মমামলা দায়ের করেছেন। ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(এ/এফ) ধারায় একটি অস্ত্র মামলা, যার টেকনাফ থানা নম্বর ২৭/২০১৯, জিআর মামলা নম্বর ৯৯/২০১৯ (টেকনাফ)। অপর মামলাটি ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৫(বি) ধারায় ইয়াবা টেবলেট উদ্ধারের মামলা করা হয়েছে। যার টেকনাফ মডেল থানা ২৬/২০১৯, জিআর মামলা নম্বর ৯৮/২০১৯ (টেকনাফ)। দু’টি মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি’র ৪ ভাই এর মধ্যে আবদুশ শুক্কুর’ (৩৩) কে এক নম্বর, আমিনুর রহমান (৪১) কে ২ নং, শফিকুল ইসলাম প্রকাশ শফিক (২৮) কে ৮নং ও ফয়সাল রহমান (২৯) কে ৯ নং আসামী করা হয়েছে। এছাড়া আসামীর তালিকায় টপ টেনের মধ্যে টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদের পুত্র দিদার মিয়া (৩৫) কে ৪ নং, মৃত হাজী আবুল কাশেমের পুত্র নুরুল হুদা মেম্বার (৩৮) কে ৩ নং, মৃত মোহাম্মদ আবদুর রহমানের পুত্র সাহেদ রহমান নিপু (৩৩) কে ৫ নং, কালা মোহাম্মদ আলীর পুত্র আবদুল আমিন (৩৭) কে ৬ নং, মোহাম্মদ আলীমের পুত্র নুরুল আমীন (৩৭) কে ৭ নং এবং মৃত মোহাজের মিয়ার পুত্র এনামুল হক প্রকাশ এনাম মেম্বারকে ১০ নম্বর আসামী করা হয়েছে। অস্ত্র মামলায় ৩০ টি অবৈধ অস্ত্র, ৭০ টি ব্যবহারযোগ্য তাজা কার্তুজ উদ্ধার পূর্বক সাক্ষী সহ জব্দ দেখানো হয়েছে। মাদক দ্রব্য উদ্ধার মামলায় তিন লক্ষ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করে সাক্ষী সহ জব্দ দেখানো হয়েছে। মামলা দু’টি তদন্তের জন্য টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এ.বি.এম.এস দোহাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা যায়, টেকনাফ-মেরিনড্রাইভ সড়কে শনিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি ভোরে টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ.বি.এম.এস দোহা’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযানে নামে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শতাধিক ইয়াবা কারবারী বেশকিছু অস্ত্র ও ইয়াবার বস্তা মাঠে ফেলে আত্মসমর্পণ করে। পরে ইয়াবা টেবলেট ও অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে গননা পূর্বক সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা, ৩০ টি অস্ত্র ও ৭০টি তাজা কার্তুজ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন ইয়াবাবাজকে পরে গ্রেপ্তার দেখিয়ে টেকনাফ মডেল থানায় উল্লেখিত মামলা দু’টি রুজু করা হয়। মামলার এজহার ও এফআইআর-এর মূলকপি সহ ফরোয়ার্ডিং সহকারে শনিবার বিকেলে কক্সবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ছুটিকালীন আদালতের বিচারক ও টেকনাফর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দেলোয়ার হোসেনের কাছে কক্সবাজার কোর্ট পুলিশ পরিদর্শকের মাধ্যমে পাঠানো হয়। শনিবার বিকেলে আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেন ১০২ জন আসামীকে সি.ডাব্লিউ (হাজত পরোয়ানা) মূলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আত্মসমর্পণকারী ১০২ জন আসামীকে টেকনাফ থেকে সরাসরি জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) এ.বি.এম. এস দোহা বলেন-ইয়াবা, অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনার সাথে ১০২ জন ইয়াবাবাজের আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণের বিষয়টি জড়িত থাকায় মামলাটি ভিন্নরকম গুরুত্ব পাচ্ছে। এ মামলা দু’টি একটু ব্যাতিক্রম হওয়ায় আইনগত দিক বিবচেনা ও উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক যথাসময়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে মামলার আইও জানান।
মামলা দু’টির আত্মসমর্পণকারী ইয়াবাবাজ অন্যান্য আসামীরা হচ্ছে-কক্সবাজার বাস টার্মিনালের শাহজাহান আনসারী, সাহেদ কামাল, সামশু মেম্বার, আবদুল হামিদ, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রকাশ দানু মেম্বার, নয়াপাড়ার মোঃ তৈয়ব, আলীর ডেইলের জাফর আহমদ, মোঃ রাসেল, নুরুল আমিন, শওকত আলম, হোসেন আহমদ, আলী আহমদ, ডেইল পাড়ার মোঃ সাকের মিয়া, আলমগীর ফয়সাল, শামসুল আলম শামীম, মৌলভী বশির, রেজাউল করিম মেম্বার, নুরুল আলম,ডেইল পাড়ার নুরুল আমিন, মুন্ডার ডেইলের মনজুর, দক্ষিণ নয়াপাড়ার নূর মোহাম্মদসহ ২২জন। টেকনাফ পৌর ও সদর ইউনিয়নের আবদু শুক্কুর, আমিনুর রহমান প্রকাশ আবদুল আমিন, আব্দুল আমিন, নুরুল আমিন, আবদুর রহমান, জিয়াউর রহমান, পৌর কাউন্সিলর নুরুল বশর প্রকাশ নুরশাদ, দক্ষিণ জালিয়াপাড়ার ইমাম হোসেন, বড় হাবিব পাড়ার মোঃ ছিদ্দিক, পুরনো পল্লান পাড়ার শাহ আলম, অলিয়াবাদের মারুফ বিন খলিল বাবু, মৌলভী পাড়ার একরাম হোসেন, মধ্যম ডেইল পাড়ার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, চৌধুরী পাড়ার মংমং ছেং প্রকাশ মমচি, দক্ষিণ জালিয়া পাড়ার জুবাইর হোসেন, ঈমান হোসেন, মধ্যম জালিয়া পাড়ার মোজাম্মেল হক, নাজির পাড়ার এনামুল হক মেম্বার, আফসার, আবদুর রহমান, সৈয়দ হোসেন, মোঃ রফিক, মোঃ হেলাল, জামাল হোসেন, জাফর আলম, মৌলভী পাড়ার মোঃ আলী, নাইটং পাড়ার মোঃ ইউনুস, মাঠ পাড়ার কামাল হোসেন, উত্তর লম্বরীর আবদুল করিম প্রকাশ করিম মাঝি, সদর কচুবনিয়ার বদিউর রহমান, শীলবনিয়া পাড়ার আইয়ুব, রাজার ছড়ার আবদুল কুদ্দুস, জাহালিয়া পাড়ার মোঃ সিরাজ, নতুন পল্লান পাড়ার মোঃ সেলিম, চৌধুরী পাড়ার মোহাম্মদ আলম, তুলাতলীর নুরুল বশর, হাতিয়ার ঘোনার দিল মোহাম্মদ, মোহাম্মদ হাছন, রাজার ছড়ার হোসেন আলী, উত্তর জালিয়া পাড়ার নুরুল বশর মিজি, আবদুল গনি, জালিয়া পাড়ার মোঃ হাশেম প্রকাশ আংকু, আলম, পুরান পল্লান পাড়ার ইসমাইল, নাইট্যং পাড়ার আইয়ুব, মোঃ রহিম উল্লাহ, নুর হাবিব, মিঠা পানির ছড়ার মোঃ ইউনুছ, কামরুল হাসান রাসেলসহ ৫২জন।
বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজ পুরার নুরুল আলম, শামলাপুর জুমপাড়ার শফি উল্লাহ, ছৈয়দ আলম, উত্তর শীলখালীর মোঃ আবু ছৈয়দসহ ৪জন। হ্নীলা ইউনিয়নের হ্নীলা পশ্চিম লেদার নুরুল হুদা মেম্বার, আলী খালীর জামাল মেম্বার, শাহ আজম, পশ্চিম সিকদার পাড়ার ছৈয়দ আহমদ ছৈয়তু, রশিদ আহমদ, পশ্চিম লেদার নুরুল কবীর, পূর্ব লেদার