চকরিয়া প্রতিনিধি :

চকরিয়ায় ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়ায় বখাটে যুবকদের হামলায় আবদুর রহিম (১৬) নামের এক স্কুলছাত্রকে বেদড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়েছে। আহত ছাত্রকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের নুনাছড়ি এলাকার আবদুস সালামের ছেলে ও হারবাং উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। বুধবার দুপুরের দিকে হারবাং উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রের পরিবার শনিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্থানীয় বখাটে চারজন যুবক নিত্যদিনের মতো বুধবারে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করেছিল। এ সময় প্রতিবাদ করে বাঁধা দিতে গেলে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্র রহিমকে বখাটে যুবক ফয়সালুর রহমান, আয়মন, মিনহাজুল হক ইয়াদ ও তামিম ছাত্র রহিমের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীরা লোকজন ও সহপাঠীরা আহত ছাত্রকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্কুলছাত্র জানায়, বখাটে যুবকগুলো স্কুল থেকে চার পাঁচবার এসএসসি পরিক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হয়। এরপর থেকে তারা সার্বক্ষনিক স্কুল ছুটির পূর্বে দলবেঁধে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছিল। হারবাং বিভিন্ন এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে ওই বখাটেরা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।এমনকি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নাজেহাল ও সালিশ বিচারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্কুল শিক্ষকদেরও তোয়াক্কা করছেনা।

হারবাং ছাত্র ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন বলেন, অপরাধী যেই হউক না কেন, এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যায় না। উক্ত ঘটনার সুষ্ট তদন্তপূর্বক অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে তাদের কঠোর শাস্তির দাবী করেন।

এ ব্যাপারে জানতে হারবাং উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।

হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিরানুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত বখাটে যুবকরা অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির। তাদেরকে বেশ কয়েকবার নিষেধ করা হয়েছিল। ওই যুবকদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অভিযোগও রয়েছে। তবে ঘটনায় আহত ছাত্রের স্বজনদের আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।