মোঃ নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম: 
সাতকানিয়ায় মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছে এক যুবলীগ নেতা। তার নাম দিদারুল ইসলাম (৩৫)। ১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকাল পৌন চারটায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া পাবলিক স্কুলের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রতিবেশী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা এসে সড়ক অবরোধ করে অন্তত ২০টি গাড়ী ভাংচুর করে। এতে প্রায় এক ঘন্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে সড়কের উভয় পাশে ৫ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হলে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। যান বন্ধ থাকায় অনেকে পায়ে হেঁটে কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন। পরে থানা পুলিশ, দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশ ও দমকল
কর্মীদের যৌথ প্রচেষ্টায় সড়ক অবরোধকারীদের সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

স্থানীয় বাসীন্দা ও হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিকাল পৌন চারটার দিয়ে উত্তর সাতকানিয়া সাংগঠনিক থানা যুবলীগের সদস্য মো. দিদারুল ইসলাম মহাসড়ক হয়ে আন্দার মা দরগাহর দিকে যাওয়ার পথে পিছন থেকে দ্রæত গতিতে এসে লোকাল হানিফ পরিবহণ (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৪-৩৭৩৯) নাম্বারের একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দিদার প্রাণ হারান। খবর পেয়ে
তার প্রতিবেশী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা এসে এক ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় বিক্ষুদ্ধ লোকজন মারশা, সৌদিয়া, এস আলম, হানিফ, ট্রাক ও যাত্রীবাহী পিকআপসহ প্রায় ২০টির মতো গাড়ী ভাংচুর করে সড়কে দিদারের হত্যাকারী বাসের চালককে দ্রæত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে মিছিল করে। দিদারুল ইসলাম উপজেলার জনার কেঁওচিয়া পঞ্চাঁয়েত বাড়ির মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। সেই সন্তানের জনক।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, মহাসড়কে লোকাল হানিফ পরিবহণের ধাক্কায় দিদারুল ইসলাম নামের এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছে। এর জেরে স্থানীয় কিছু লোক ঘটনার পর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। পুলিশ বাসটিকে আটক করে ও অবরোধকারীদের দাবি মেনে নিয়ে সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।