১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার কক্সবাজারের স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেনের সংবাদ সম্মেলনের খবরটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আমাদেরকে জড়িয়ে যে ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক ও দূরভিসন্ধিমূলক অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট । যার সঙ্গে সত্যের লেশমাত্র নেই। তিনি দাবী করেছেন যে, ৩০৬৮ খতিয়ানের ২০০৪৬ দাগে তার সী-নূর কটেজ, মার্কেট এবং সীমানা দেয়াল রয়েছে এবং অভিযোগ করেছেন আমরা তার মালিকানাধীন দখলিয় জমিতে সাইন বোর্ড টাঙিয়েছি।

প্রিয় সাংবাদকর্মী, বন্ধু, এলাকাবাসী ও স্থানীয় প্রশাসনের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই, মূলত জনাব আনোয়ার হোসেন জমিক্রয় করেন বিএস ২০০৩৮ দাগ থেকে ০.১০ শতাংশ এবং বিএস ২০০৩৯ দাগ থেকে ০.১০ শতাংশ। যা ইতিপূর্বে এলএ মামলা ৪২/৯২ এবং ১৮/৯৩-৯৪ মূলে সরকার কতৃর্ক অধিগ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রতারক আনোয়ার হোসেন অধিকৃত সরকারী জমি সরকারকে বুঝিয়ে না দিয়ে বিভিন্ন কলা কৌশলে জোর পূর্বক উক্ত জমি জবর দখল করে আছেন। যেখানে তার উল্লেখিত স্থাপনাগুলি বিদ্যমান রয়েছে। আনোয়ার হোসেনর জবর দখলের কারণে এলাকার চলাচলের বিঘœ ঘটায় এলাকাবাসী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মাননীয় জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাননীয় জেলা প্রশাসক কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি)সদরকে এই অবৈধ দখলদার আনোয়ার হোসেনকে উচ্ছেদ করার নির্দেশ প্রদান করেন। জেলা প্রশাসকের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আনোয়ার হোসেন মহামান্য হাইকোর্টে বিভাগে রীট পিটিশন নং-৪৬৮৮/২০১৬ মামলা দায়ের করলে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি নাইমা হায়দার এবং মাননীয় বিচারপতি মুহাম্মদ সেলিম সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ বিগত ০১/১১/২০১৭ইং তারিখে মামলাটি খারিজ করে দেন। যার ফলে তার খরিদকৃত সম্পূর্ণ জমিই সরকারী অধিগ্রহণকৃত জমি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। মূলত আনোয়ার হোসেনের উল্লেখিত সী-নূর কটেজ এবং অন্যান্য স্থাপনার সাথে আমাদের খরিদকৃত জমির কোন সম্পৃক্ততা নাই। প্রকৃতপক্ষে আমরা মরহুম মকছুদ আহমদ চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী সায়রা বেগমের মালিকানাধীন ও দখলীয়সত্ব সম্পত্তি ১৫৮৩ খতিয়ানের দাগ নং ২০০৪৬ এর ০.০৭ একর জমি মরহুম মকছুদ আহমদ চৌধুরী এর ওয়ারিশগণের নিকট হইতে ক্রয় করি। মকছুদ আহমদ চৌধুরীর ইন্তেকালে তৎ ওয়ারিশগণের বি.এস ১৫৮৩ নং খতিয়ানে সমিলে নামজারী হয়। উক্ত খতিয়ানের জমি সম্পর্কে মকছুদ আহমদ চৌধুরীর ওয়ারিশগণ ১৪২৫ বাংলা ২০১৯ ইং পর্যন্ত সরকারের বরাবরে খাজানা পরিশোধক্রমে ভোগ দখলে আছেন। উল্লেখ্য যে, মকছুদ আহমদ চৌধুরীর ওয়ারিশগণ উক্ত ০.০৭ একর জমিতে সেমিপাকা ৩টি বাড়ী, টিউবওয়েল, পানির পাম্প, বৈদ্যুতিক মিটার এবং গাছপালা রোপন করে ভোগ দখলে আছেন। অন্যদিকে আনোয়ার হোসেনের খরিদকৃত জমি অনেক আগেই সরকার অধিগ্রহণ করেছেন। সরকারী সার্বে রির্পোট অনুযায়ী ১৫৮৩ খতিয়ানের দাগ নং ২০০৪৬ এর ০.০৭ একর জমি মরহুম মকছুদ আহমদ চৌধুরীর ওয়ারীশগণের ভোগ দখলে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।তারপরও আনোয়ার হোসনে আমাদের খরিদকৃত নিস্কন্ঠক জমিকে নিজের সম্পত্তি বলে অবহিত করার অপ:প্রয়াস চালাচ্ছেন। আনোয়ার হোসেনর এহেন কর্মকান্ড আমাদের সামাজিক মর্যাদা ও রাজনৈতিক পরিচিতি ক্ষুন্ন করেছে। আনোয়ার হোসেনের এমন হীন কর্মকান্ড আমাদেরকে সামাজিকভাবে হেয় করার পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে। যা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। মূলত আনোয়ার হোসেন ব্যক্তিগত ভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত। সে কক্সবাজারে জামাতের ডোনার হিসেবে পরিচিত। তার ছেলে নূর শিবিরের দূর্ধর্ষ ক্যাডার এবং ২০১৩-১৪ সালে সংগঠিত রাস্ট্র বিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ড ও নশকতার সাথে জড়িত ছিল। বর্তমানে আনোয়ার হোসেনর মালিকানাধীন ৯৯ ব্রাইডেল হাউজ প্রতিষ্ঠানটি জামাতের গোপন আস্থানা হিসেবে পরিচিত। উক্ত ৯৯ ব্রাইডেল হাউজ প্রতিষ্ঠানটি কক্সবাজার জেলা ছাত্র শিবিরের কয়েকজন সাবেক শীর্ষ নেতার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এলাকাবাসীর ধারনা মতে, রাতের আধারে ৯৯ ব্রাইডেল হাউজে সরকার বিরোধী অনেক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। উল্লেখ্য যে, এই প্রতারক জঙ্গি মদদ দাতা আনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন সৌদি আরবে অবস্থান কালে বিভিন্ন অপকর্মের কারণে বর্তমানে সৌদি সরকার তার ভিসা বাতিল করে দিয়ে সৌদি আরবে তার প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেছে।
পরিশেষে আনোয়ার হোসেনের এমন হীন কর্মকান্ড এবং সাংবাদিক ভাইদের মিথ্যা তথ্য প্রদান করে এমন ভিত্তিহীন অমূলক সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাংবাদিক ভাইদের প্রতি বিনীত আবেদন এইরূপ অসত্য, বানোয়াট , প্রতারণামূলক, মানহানীকর সংবাদ প্রকাশের আগে তথ্য উপাথ্য যাচাই করে বস্তুনিষ্ঠ সত্য সংবাদ প্রকাশ করবেন।

প্রতিবাদকারী
শহিদুল হক সোহেল
কুতুব উদ্দিন