ইমাম খাইর, সিবিএন

দোষ স্বীকার করে ৯ শর্তে আত্মসমর্পণ করছে টেকনাফের ১০২ জন ইয়াবা গডফাদার ও ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যে ৩০ জন গডফাদার ও ৭২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী রয়েছেন।

টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আজ শনিবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তার হাতে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করছেন আত্নস্বীকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। তবে আত্মসমর্পণের আগে পুলিশ ও সরকারের পক্ষ থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও গডফাদারদের কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে।

 শর্তগুলো হলো-

১. নিজের হেফাজতে থাকা সকল ইয়াবা ও অবৈধ অস্ত্র পুলিশের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।

২. আত্মসমর্পণের আগে দায়ের হওয়া মামলা ও বিচার কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।

৩. ইয়াবা ব্যবসায় নিজের/পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়-স্বজনের নামে-বেনামে অর্জিত সকল সম্পদ দুদক, সিআইডির মানি লন্ডারিং শাখা ও এনবিআরের মাধ্যমে যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

৪. আত্মসমর্পণ পক্রিয়ায় দায়ের হওয়া মামলায় সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে সহায়তা প্রদান করা হবে।

৫. যে সকল মাদক ব্যবসায়ী এখনো সক্রিয় তাদের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে।

৬. আইনি পক্রিয়ায় মুক্ত হলে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকায় মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ড করতে হবে।

৭. ভবিষ্যতে কখনো মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত হওয়া যাবে না।

৮. আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ায় তাদের বিরুদ্ধে যে মামলাটি রুজু হবে, সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে তাদেরকে আইনগত সুবিধা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

৯. মাদক ব্যবসার মাধ্যমে নিজের পরিবারের আত্মীয় স্বজনের নামে ও বেনামে অর্জিত সকল স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি যাচাইয়ের জন্য দুদক, (সিআইডিমানিলন্ডারিং শাখা) এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সকল সংস্থার নিকট তাদের তথ্যাদি প্রেরণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে তাদের অর্জিত সকল স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি যাচাই সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক থাকবেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএম, অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন এন্ড ক্রাইম) মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ, কক্সবাজার জেলার চারটি আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, আশেক উল্লাহ রফিক, সাইমুম সরওয়ার কমল, শাহীন আক্তার চৌধুরী, বিজিবি’র রিজিওনাল চীফ, ব্যাটালিয়ন চীফ, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রধান, জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুুজিবুর রহমান রহমান উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে থাকবেন।