হামিদুল হক, ঈদগড়:
কক্সবাজার জেলার কৃষি প্রধান এলাকা ঈদগড়ে সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থার একটি অংশ হলো পার্চিং পদ্ধতি। আবাদী জমিতে ক্ষতিকারক পোকা দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পার্চিং পদ্ধতি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
উপজেলা কৃষি অধিদফতর থেকে কৃষকদের এ বিষয়ে নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পার্চিংয়ের উপকারিতা সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করণ হয়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ফসলে ক্ষতিকারক পোকা দমনে অনেক আগে থেকে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এতে যেমন অনেক উপকারী পোকা মারা যায়, তেমনি পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এ ক্ষতির চিন্তা করেই পার্চিংয়ের মতো নিরাপদ পদ্ধতি ব্যবহারে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে জমির বিভিন্ন স্থানে পাখি বসার জন্য ৬-৮টি (বিঘা প্রতি) বাঁশের কঞ্চি ও গাছের ডাল পুঁতে দেয়া হয়। এসব ডালে বসে পাখি জমির পোকা খেয়ে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এলাকার কৃষক মোঃ আলম বলেন, জমিতে পোকার আক্রমণ নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তায় থাকতে হতো। বর্তমানে পার্চিং পদ্ধতিতে কোনো ধরনের খরচ ছাড়াই পোকা দমন করা যাচ্ছে।
কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে গত কয়েক বছর থেকে আমরা নিজেরাই পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছি। এতে করে এক দিকে কীটনাশক সংক্রান্ত খরচ হচ্ছে না, তেমনি ফসলের উৎপাদনও বাড়ছে।
উপ-সহকারি কৃষি অফিসার শহিদুল ঈসলাম জানান, মাজড়া পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা, নলী মাছি, গল মাছি, চুঙ্গী পোকা এ ধরনের পোকা ফসলের জন্য খুব ক্ষতিকারক। ডালে বসে পাখিরা জমির এসব পোকা খায়। এতে পোকামাকড়ের জন্য বালাইনাশকের প্রয়োজন হয় না। পার্চিং একটি পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতি। ক্ষতিকর পোকামাকড়ের আক্রমণ রোধে বার বার জমিতে কীটনাশক প্রয়োগে মানুষের ক্ষতি হয়। এছাড়াও উপকারী পোকা, মাছ, পাখি, প্রাণী ও পতঙ্গ মারা যায়। এ বিষয়ে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে।