ইমাম খাইর, সিবিএন:
আত্নসমর্পণের সুযোগ পেয়েও পালিয়ে থাকা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের রক্ষা নাই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, আত্নসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারিরা সাধারণ ক্ষমার আওতায় আসবে না। তবে সম্ভব মতো আইনী সহায়তা পাবে।

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের একটি তারকা মানের হোটেলে একটি বেসরকারী টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাতকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, দেশের প্রচলিত আইনে আত্নসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারিদের বিচার হবে। ইয়াবা কারবারি ও তাদের স্বজনদের সম্পদ দুদক ও এনবিআরের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে আত্নসমর্পণ করবে দেশের শীর্ষ ইয়াবা কারবারি ও গডফাদাররা। ওই তালিকায় এ পর্যন্ত ১০২ জনের নাম শোনা যাচ্ছে।

টেকনাফ পাইলট স্কুল মাঠে সকাল ১০টায় এই আত্নসমর্পণ অনু্ষ্ঠান শুরু হবে।

পুলিশের আইজি জাবেদ পাটওয়ারীসহ সংশ্লিষ্টরা আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

আত্নসমর্পণ করছেন এমন কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ীর নাম বিভিন্ন সুত্র থেকে পাওয়া গেছে। তারা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির ভাই আব্দুর শুক্কুর, শফিকুল ইসলাম শফিক, আমিনুর রহমান ওরফে আব্দুল আমিন, ফয়সাল রহমান, বদির ভাগিনা সাহেদ রহমান নিপু, আরেক ভাগিনা টেকনাফ পৌর কাউন্সিলার নূরল বশর ওরফে নূরশাদ, বদির খালাতো ভাই মং সিং থেইন ওরফে মমসি, ফুপাতো ভাইয়ের ছেলে কামরুল হাসান রাসেল, বদির ভাই শুক্কুরের ম্যানেজার মারুফ বিন খলিল বাবু, বদির বেআই সাহেদ কামাল, টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমের ছেলে দিদার মিয়া, টেকনাফের হ্নীলার নুরুল হুদা মেম্বার, টেকনাফের এনামুল হক এনাম মেম্বার, সাবরাং এর মোয়াজ্জেম হোসেন দানু মেম্বার, হ্নীলার জামাল মেম্বার, শাহাপরীর দ্বীপের রেজাউল করিম রেজু মেম্বার, উত্তর আলী খালির শাহ আজম ও সাবারং নয়াপাড়ার আলমগির ফয়সাল লিটন, ইয়াবা ডন হাজী সাইফুল করিমের দুই শ্যালক জিয়াউর রহমান ও আব্দুর রহমান, টেকনাফের পশ্চিম লেদার নুরুল কবির, হ্নীলা সিকদার পাড়ার সৈয়দ আহম্মদ সৈয়দ, বন্দুকযুদ্ধে নিহত নাজির পাড়ার শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানের ভাই আব্দুর রহমান, নাজির পাড়ার সৈয়দ হোসেন, নাইটং পাড়ার ইউনুস, ডেইল পাড়ার জাফর আলম, জাহাজপুরার নুরুল আলম, হ্নীলার রশিদ আহম্মদ ওরফে রশিদ খুলু, সদরের ডেইল পাড়ার আব্দুল আমিন ও নুরুল আমিন, টেকনাফ সদরের উত্তর লম্বরি এলাকার করিম মাঝি, হ্নীলা ফুলের ডেইলের রুস্তম আলী, শামলাপুর জুম পাড়ার শফিউল্লাহ, একই এলাকার সৈয়দ আলম, রাজাছড়ার আব্দুর কুদ্দুছ, মধ্যম জালিয়া পাড়ার মোজাম্মেল হক, জাহেলিয়া পাড়ার মোহাম্মদ সিরাজ, কচুবনিয়ার আব্দুল হামিদ, নাজিন পাড়ার মোহাম্মদ রফিক, পল্লান পাড়ার মোহাম্মদ সেলিম, নাইটং পাড়ার রহিম উল্লাহ, নাজিরপাড়ার মোহাম্মদ হেলাল, চৌধুরী পাড়ার মোহাম্মদ আলম, সদর ইউনিয়নের মৌলভি পাড়ার একরাম হোসেন, হ্নীলার পূর্ব পানখালির নজরুল ইসলাম, সদর ইউনিয়নের তুলাতলি এলাকার নুরুল বশর, হাতির ঘোনার দিল মোহাম্মদ, একই এলাকার হাসান, সাবরাং নয়া পাড়ার নুর মোহাম্মদ, কচুবনিয়ার বদিউর রহমান ওরফে বদুরান, জালিয়া পাড়ার জুবায়ের হোসেন, হ্নীলার পূর্ব লেদার জাহাঙ্গীর আলম।

আত্নসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে নিজেদের দোষ স্বীকার করে কয়েকজনকে বক্তব্য প্রদানের সুযোগ দেওয়া হতে পারে বলে পুলিশের একটি সুত্র থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।