কায়সার হামিদ মানিক, উখিয়া: 
মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে উখিয়া-টেকনাফে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা ৫ হাজার একর বনভুমিতে আশ্রয় নেওয়ার পরেও প্রায় ১০ হাজার একর বনভুমি রয়েছে। যেসব বনভুমি সংরক্ষন করার দায়িত্বভার ন্যাস্ত রয়েছে বনবিট কর্মকর্তার উপর। অথচ বনবিট কর্মকর্তা শতশত একর বনভুমি দখল হস্তান্তর করে লাখ লাখ টাকা পকেটস্থের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ইস্যুতে পার পেয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল ও এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, উখিয়ার দোছড়ি বনবিটের আওতাধীন দক্ষিন হরিনমারা এলাকার মৃত ছৈয়দ আহম্মদের ৩ ছেলে এলাকার চিহ্নিত ভুমিদস্যু নুরুল ইসলাম, নুরুল হাকিম, আমির হাকিমসহ শীর্ষরা স্থানীয় বিট কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামকে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে সরকারি বনভুমির জায়গা দখল করে একের পর এক নির্মাণ করে যাচ্ছে আলিশান ভবন।
এসময় সাংবাদিকের উপস্থিতি লক্ষ্য করে শ্রমিকেরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় সচেতন মহলরা জানান, দোছড়ি বিট কর্মকর্তা ও হেডম্যান মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ হয়ে সরকারি বনে প্রতিনিয়ত সহযোগিতা করে আসছে। এতে আমরা কেউ বাধা প্রদান করিলে উল্টো বিট কর্মকর্তা আমাদেরকে মিথ্যা মামলার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে থাকেন। এ ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম সরকারি বনে ভবন নির্মানের কথা স্বীকার করলেও টাকা নেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন।