‘এ যেন ভানুমতির খেল’

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১১:৪৭ , আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০৩:৪৯

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


– ইসতিয়াক আহমেদ জয়

তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও কোন এক অদৃশ্য কারনে আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছেন টেকনাফ সীমান্তের অনেক বড় বড় ইয়াবা কারবারি বা গডফাদারেরা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী শীর্ষ ৭৩ ইয়াবা কারবারির মধ্যে প্রথম ১০ জনের কেউই আগামীকাল শনিবারের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে আত্নসমর্পন করছেন না।

ঠিক কোন কারনে কেন তাহারা আত্নসমর্পন করছেন না এই প্রশ্নের উত্তর জানেন না কেউই!!

৭৩ জন ইয়াবা গডফাদারদের এই তালিকায়
শীর্ষে অর্থ্যাৎ প্রথম দশজনের মধ্যে…

এক নম্বরে রয়েছেন টেকনাফের সাবেক সাংসদ এজাহার মিয়া কোম্পানীর পুত্র আবদুর রহমান বদির নাম।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে টেকনাফের শীলবনিয়ার হানিফ ডাক্তারের পুত্র সাইফুল করিম ওরফে হাজী সাইফুলের নাম।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সাবেক বিএনপি নেতা টেকনাফের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমের নাম।

চতুর্থ স্থানে রয়েছে সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির আপন সহোদর আবদুস শুক্কুরের নাম।

পাঁচ নম্বরে রয়েছে সাবেক এমপি বদির আরেক সহোদর টেকনাফ পৌরসভার বর্তমান প্যানেল মেয়র মৌলভী মুজিবুর রহমানের নাম।

সীমান্তের একাধিক ইয়াবা সিন্ডিকেটের নেতৃত্বদান কারী মৌলভী মুজিব এখন প্রকাশ্যে দিব্যি ঘোরাফেরা করে বেড়াচ্ছেন।

তালিকায় এরপরে..
ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আহমদের ছেলে টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়ার নাম।

তালিকায় এরপরে দিকে রয়েছেন..
টেকনাফ উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মৌলভী রফিক উদ্দীন ও তাঁর আপন সহোদর বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মৌলভী আজিজ উদ্দীনের নাম।

শীর্ষ দশের শেষের নামটি খুব সম্ভবত টেকনাফ পৌরসভার জালিয়া পাড়ার ইয়াবার লগ্নিকারক ও হুন্ডিসম্রাট হিসেবে খ্যাত জাফর আহমদ ওরফে টিটি জাফর।

যতদূর জানি …
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা শুধু মাত্র
হাজী সাইফুল ছাড়া বাকী সবাই অর্থ্যাৎ জাফর চেয়ারম্যান,মৌলভী মুজিব,আবদুর শুক্কুর,জাফর চেয়ারম্যানের পুত্র শাহাজান মিয়া,শামলাপুর ইউনিয়নে আপন দুই সহোদর মৌলভী রফিক ও মৌলভী আজিজ সহ টিটি জাফরদের মতোন গডফাদারেরা সকলেই কক্সবাজার শহর কিংবা টেকনাফের মধ্যে প্রকাশ্যেই ঘোরাফেরা করে বেড়াচ্ছেন।

গডফাদারের তালিকায়..
শীর্ষে অবস্থান করা এই বিশাল সংখ্যাক ইয়াবা গডফাদারদের আত্নসমর্পন অনুষ্ঠান প্রক্রিয়ার মূল পর্বের বাইরে রেখে ইয়াবা নির্মুল কতটা সম্ভব কিংবা আদৌ সম্ভব কিনা তানিয়ে বড় ধরনের সংশয় থেকে যায়!

অনেকেই বলছেন..
শীর্ষ কারবারীদের আত্নসমর্পনের আওতায় না আনলে পুরো প্রক্রিয়াটি একটি “আইওয়াশের” অনুষ্ঠানে পরিনত হবে।

যাইহোক..
ব্যক্তিগতভাবে আমি সবসময় আশাবাদীদের
দলে।

প্রত্যাশা করছি,
সব সংশয়কে পেছনে ফেলে যথাযত নিয়ম অনুসরণ করে একটি স্বচ্ছ ও কার্যকর সময়োপযুগী আত্নসমর্পন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠানের গৌরবগাঁথা গল্প ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেবে।

ইসতিয়াক আহমেদ জয় , সভাপতি , বাংলাদেশ ছাত্রলীগ , কক্সবাজার জেলা শাখা ।