সাইফুল ইসলাম বাবুল

জাতীয় নির্বাচন হয়ে গেলো,কড়া নাড়ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতাসীন। দরকার ছিল বাংলাদেশ তথা তাবৎ বিশ্ব চেয়েছিল বঙ্গকন্য ক্ষমতায় আসুক। মানুষের চাওয়া পাওয়ার প্রতিফলন হয়েছে। যে যাই বলুক অন্যতায় মনুষ্যত্ব বিপদ গ্রস্ত হতো। থেমে যেতো উন্নয়নের চাকা, বিশ্বময় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ম্লান হতো। কেননা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সামন্ত কাল কোন নেতৃত্ব আছে বলে মনে হয় না। যিনি দক্ষতা দিয়ে সবকিছু সামলে নিয়েছেন।

যাক একজন কলামিষ্ট লিখেছিলেন শেখ হাসিনাকে ৩ ধরনের সন্ত্রাস মোকাবেলা করে এগোতে হবে। ( ১) বিরোধী দলীয় সন্ত্রাস (২) মৌলবাদী সন্ত্রাস (৩) নিজ দলীয় সন্ত্রাস। ১ নাং সন্ত্রাস রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা যায়। ২ নং সন্ত্রাস রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ভাবে মোকাবেলা করা যায়। ৩ নং বিষয়টি স্পর্শ কাতর, তারা প্রথমত বর্ণচোরা হয়, তাদের চেনা কঠিন, সাজানো দলীয় আনুগত্যের কারণে তাদের টিকিঠাও ধাবা যায় না। তারা সুচতুর তাই সহজেই সামনের সারিতে চলে আসে। তখন তারা অনেকটা নিরাপদ হয়ে যায়। সেই নিরাপদ জোনে বসে তারা ছড়িয়ে দিচ্ছে সামাজিক দুর্বৃত্তায়ন।

এখন প্রসঙ্গ কোথায় আসি, আসন্ন পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন । বলতে গেলে কক্সবাজারের রাজনীতিতে পেকুয়াকে রাজনীতির বীজতলা বললে অত্যুক্তি হবে না। অনেক রাজনৈতিক নেতা থেকে প্রতিযশা ব্যক্তিদের জন্ম পেকুয়ায়, তাই স্বাভাবিকভাবে পেকুয়াই রাজনীতির নিয়ামক ছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস নিকট অতীত থেকে পেকুয়ায় সমাজবিরোধী ব্যক্তিরা পেয়েছেন দূবৃত্তায়ন শরু হয়। সমাজ বিরুধী ব্যক্তিরা পদায়িত হয়েছেন। বড় নেতারা রাজনীতির মাঠ দখলে রাখার জন্য তাদের পদায়িত করেছেন। এই লেটেল প্রবৃত্তির নেতারা সদর্পে অপকর্ম করে যাচ্ছেন।

সাথে দেখলাম প্রশাসনিক বিষয়াশয় তাদের নিয়ন্ত্রনে সমাজে নীরহ, শিক্ষিত, সজ্জন ব্যক্তিরা প্রতিনিয়ত নাজার হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জান-মাল ইজ্জত-আব্রু এখন কতটুক নিরাপদ।

কিছুদিন আগে জাতীয় নির্বাচনের পর দেখলাম এক নেতার ভাই টাকা নিতে নিতে জমি চাষের ট্রাক্টর ওয়ালার কাছে ও টাকা দাবি করলো। সরবে, নীরবে কতো অপকর্ম, ডাকাতি, হত্যা, এমন কোন কাজ নেই করে নাই যার জন্য জেল খেটেছেন। এখন বলছেন দলের জন্য জেল খেটেছেন। ছাত্র নেতা হিসেবে ℅১ লোক তাকে পছন্দ করতো না চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী বলে সমীহ করতো। এখন হয়ে গেলেন রাজপথ কাঁপানো ছাত্রনেতা। মানুষ ঠকিয়ে অনেক বিত্ত-ভৈববের মালিক। শূন্য ঘরে ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা বৈধ পন্থা ছাড়া এতো সম্পদ কোথা থেকে এলো। চেহারায় সব সময় ভয়ংকর মূর্তি তাই লোকজন ধারে কাছেও ঘেষে না। সন্ত্রাসী ঘুটি হিসেবে দলে পদায়িত হয়েছেন প্রচুর টাকার বিনিময়ে। কোনো কালে একটা সামাজিক কাজের নজির নাই। কিছু নিজস্ব লোক দিয়ে ফেইস বুক রাজনীতিতে ব্যস্ত। তিনি নমিনিশিন নিশ্চিত হয়েছেন প্রচার করে লাখ টাকায় ভাইচ চেয়ারম্যান পদ বিক্রি করে দিয়েছেন। সাধারণ লোক কাছে গেলে কথার আগে টাকার চাহিদা জানিয়ে দেয়।

দলীয় লোকদের মামলার আসামি করেছেন শুধু টাকা দেয়নি বলে। এবার ভাবুন নিত্য পরের পকেটে যার খেয়াল সে যদি উপজেলা চেয়ারম্যান হয় জনগণের নিশ্চিত বনবাস ছাড়া উপায় কি,? মান্যবর উর্ধতন নেতৃবৃন্ধ একটু আমাদের দেখুন আমরা বড়ই অসহায়। এবার অন্যখানে পেকুয়ার তাবৎ খতিয়ানে নাকি তার একটা দাগ আছে তাই ভূমিদস্যুতা ও দখল বাজী, চাঁদাবাজী তার দখলে। গেযেবলসের মতো তার শক্ত প্রচার যন্ত্র তাই তাকে ধোয়া তুলসী পাতা বানাতে দেরি হয় না। সে পারে না এমন কিছু নাই। হঠাৎ নৈরাজ্য সৃষ্টি, হঠাৎ চুরি-ডাকাতি। প্রশাসন কাবজা করণে সন্ত্রাসী দল পাঠানো ইত্যাদি। মাঝে মাঝে কিছু গোত্র ভিত্তিক বসন্তের কোকিল দেখা যাচ্ছে বংশে ৫০/৬০ জন যুবক আছে তাদের সাথে আরো কিছু সন্ত্রাসী আছে এখন তিনি ও একটা মর্দ । মাঝখানে কিছু টাকা নিয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে চপ্পটও দিতে পারেন। আবার তলে তলে তারা পরস্পর যোগ সাজোসে সন্ত্রাসীদল ও মৌলবাদী কানেকশান ইদানিং আবার নব্য ও হাইব্রীড তৈরিতে ব্যস্ত। এ সব লোকের নমিনেশনের জন্য ব্যয়বহুল স্বদল বলে ঢাকা গমন সত্যিই অবাক লাগে। এখন কথা হলো আমরা আর কতকাল দজ্জাল পরিবেষ্টিত থাকবো। তারা নিজ ওয়ার্ডে সমাজ সদস্য হবে কিনা সন্দেহ। তারপরও চরম জনপ্রিয়তার লেবাস গায়ে তারা
সামান্য ক্ষমতাকে পর্বত প্রমান ব্যবহার করে জনগণের নাভিশ্বাস তুলবে। মাননীয় কর্তৃপক্ষ আমরা রেহাই চাই। আমরা তাই একজন শিক্ষিত মার্জিত সজ্জন যিনি যুগপৎ প্রশাসন ও জনগণের সাথে কাছের জন হিসেবে সমাদৃতো হবেন।

এস এস সি পাশ করে পড়ালেখা ত্যাগি এসব নেতা কখনো সমাজের কল্যাণ বয়ে আনবে না। কারণ ইতিমধ্যে তাদের কুকর্মের সাক্ষর জনতার হৃদয়ে গাঁথা আছে। সবিশেষ নৌকা মার্কা যে মার্কাটি জাতীর জনক ভোট করেছিলেন এ মার্কার মাহাত্ব্য যেনো ম্লান হয়ে না যায়। ফিরে আসুক শান্তি, শৃঙ্খলা, সমৃদ্ধি।
হুঁশিয়ার সামনে বিপদ ! অপশক্তি তৎপর।
খোদা হাফেজ…