এম বশির উল্লাহ, মহেশখালী:

চকরিয়া উপজেলার বদরখালী জেটিঘাটে যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যের মালামাল ভেসে গেছে। তবে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রাণে রক্ষা পেয়েছে  যাত্রীরা। তবে তাদের মধ্যে  এতে নারী শিশুসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। যাত্রীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে । দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ ফেব্রুয়ারী বুধবার  দুপুর ১২ টার দিকে।

লঞ্চটি উদ্ধার করতে বদরখালী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও মহেশখালী কোস্ট গার্ডের সদস্যরা যৌথ ভাবে  চেষ্টা চালাচ্ছে।

জানা গেছে, কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাকের উল্লাহ মালিকানাধীন এমবি সাকিব লঞ্চটি প্রতিদিনের ন্যায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকাল ৮টায় কক্সবাজার কস্তুরা ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে কুতুবদিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। উক্ত যাত্রীবাহী লঞ্চটি বদরখালী নৌ-অভ্যন্তরীণ জেটিঘাটে নোঙর করে লঞ্চে থাকা নারী-পুরুষদের নিচের কেবিনে বসায়। পরে বদরখালী বাজার থেকে প্রায় ৭০/ ৮০ বস্তা পিয়াজ ও গোল আলু তুলে লঞ্চের উপরের কেবিনে। এ অবস্থায় নোঙর তুলে কুতুবদিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার মুহুর্তে কোন কিছু বুঝে উঠার পূর্বে লঞ্চটি এক পাশে খাত হয়ে যায় । এ সময় লঞ্চের ভিতরে থাকা শিশু ও নারী-পুরুষ সহ শতাধিক যাত্রী  চিৎকার করে পানিতে ঝাঁপ দেয় । তখন উক্ত ঘাটে নোঙরে থাকা মাছ ধরার নৌ-যান ও জেটি থেকে লোকজন গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে । এবং লঞ্চে থাকা বেশ কিছু মালামাল পানির স্রুতে ভেসে গেছে ।
খবর পেয়ে উক্ত লঞ্চটি পানি থেকে  উদ্ধার করতে বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ি ও মহেশখালী কোস্ট গার্ডের সদস্যরা যৌথ ভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে ।

 যাত্রীদের অভিযোগ,  ট্রলারের মাঝি আমাদের কথা না শুনে অতিরিক্ত মাল উঠানোর ফলে এমনটি হয়েছে। তারা প্রতিদিন অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল সিয়ে সদুর কুতুবদিয়া চলাচল করে থাকে।