শফিক আজাদ,উখিয়া(কক্সবাজার) :

উখিয়ার বালুখালী ২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয় হয়েছে। ক্যাম্পের বিভিন্ন ব্লক থেকে যুবকদের নিয়ে গঠিত এই গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছে মোঃ আইয়ুব নামের এক রোহিঙ্গা। তার সহযোগী হিসেবে রয়েছে আরো অন্তত ১২জন সদস্য। এসব সদস্যের মাধ্যমে বালুখালী ২নং ক্যাম্পে সংঘঠিত হচ্ছে নানান হত্যাকান্ড থেকে শুরু করে নানান অপকর্ম। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে কেফায়াত উল্লাহ(৩২) নামের এক রোহিঙ্গা ও মসজিদের ইমাম গুরুতর আহত হয়েছে। সে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি একই ক্যাম্পে অপহরণপূর্বক হত্যা করা হয়েছে মোঃ রফিক নামের আরেক রোহিঙ্গা যুবককে।

বালুখালী ক্যাম্পের বিভিন্ন রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বালুখালী ২নং ক্যাম্পের হেডমাঝি রোহিঙ্গা নেতা আরিফ উল্লাহ হত্যা কান্ডের পর থেকে এই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপটি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এই গ্রুপের সদস্যদের চাঁদা দিয়ে চলতে হয় অন্যান্য রোহিঙ্গাদের। এর প্রতিবাদ করতে গেলে নিহত অথবা আহত হতে হয় রোহিঙ্গাদের। যার ফলে চোঁখের সামনে অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কিছুই বলতে পারছেনা সাধারণ রোহিঙ্গারা।

সন্ত্রাসীর গ্রুপের হাতে হত্যা শিকার মোঃ রফিকের পিতা ডাঃ সুলতান আহমদ জানান, কাছের কথা বলে একই ব্লকের মোঃ ছলিম নামের এক রোহিঙ্গা তার ছেলেকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে পালংখালী সীমান্ত সংলগ্ন চাকমারকূল রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অদূরে আরো কয়েকজন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মিলে হাত,পা বেঁধে হত্যা করেছে। হত্যার দীর্ঘ ১৪দিন পর তার ছেলের লাশ ওই স্থান থেকে পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় মোঃ ছলিম উখিয়া থানা পুলিশের হাতে আটক হলেও অন্যান্য সন্ত্রাসীরা এখনো ধরাছোয়ার বাইরে রয়ে গেছে বলে সে জানায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রোহিঙ্গা যুবক বলেন, তাদের গ্রুপের সদস্য হওয়ার জন্য তাকেও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সে রাজী হয়নি। এই গ্রুপে কতজন সদস্য রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই যুবক জানায়, বালুখালী ২নং ক্যাম্পের আইয়ুবের নেতৃত্বে রয়েছেন মুহাম্মদুল্লাহ, নুর আলম, নাজুম উল্লাহ, আব্দুর রহিম, মুহিবুল্লাহ, আবুল ফয়েজ, হাশিম, খালেদ, মুছা, মোঃ নুর, শওকত উল্লাহ। এদের উদ্দেশ্য হচ্ছে সাধারণ রোহিঙ্গাদের জিম্মি করে চাঁদা আদায়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিরোধী অপপ্রচারসহ বিভিন্ন অপকর্ম।

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন জানান, এ ধরনের সন্ত্রাসী গ্রুপের ব্যাপারে তাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রমাণ নেই। যদি পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই ওই সব রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।