সিবিএন ডেস্ক :

দেশের সব অনলাইন গণমাধ্যমকে অনলাইন নীতিমালার আওতায় নিবন্ধিত হতে হবে। আজ সোমবার সংসদে জাতীয় পার্টির নাসরিন জাহান রত্নার এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।

প্রশ্নোত্তরের আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।

খুলনা-৪ আসনের সালাম মুর্শেদীর প্রশ্নের জবাব তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, নবম ওয়েজ বোর্ড গঠনের পর গত ১ মার্চ ২০১৮ থেকে সব গণমাধ্যমকর্মীকে ৪৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। ওয়েজ বোর্ডের রোয়েদাদের সুপারিশ পরীক্ষা করে শিগগিরই গেজেট প্রকাশ করা হবে।

অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু বেসরকারি টেলিভিশনের মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারের বিষয়ে আমরা ওয়াকিবহাল। আমরা কিছুদিনের মধ্যে টিভি চ্যানেলগুলোর মালিক ও নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসব। চ্যানেলগুলোতে যাতে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন না করা হয়, সেই মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’ তিনি জানান, মন্ত্রিসভার অনুমোদিত সম্প্রচার নীতিমালার আলোকে একটি সম্প্রচার কমিশন গঠন করা হবে। সব চ্যানেল যাতে ওই কমিশনের মাধ্যমে চলে সেই ব্যবস্থা করা হবে।

ভোলা-৩ আসনের নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে সারা দেশে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ১ হাজার ২৪৮টি। এর মধ্যে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ৫০২টি ও আঞ্চলিক ৭৪৬টি। সারা দেশে সাপ্তাহিত পত্রিকা ১ হাজার ১৯২টি, মাসিক ৪১৪টি ও অন্যান্য ৪১টি। এ ছাড়া ২ হাজার ২১৭টি অনলাইন মিডিয়া রয়েছে। যার মধ্যে অনলাইন পত্রিকা ১ হাজার ৮৭৪টি ও ইন্টারনেট টেলিভিশন ২৫৭টি, অনলাইন রেডিও ৪৫টি ও ই-পেপার ৪১টি।