মহেশখালী প্রতিনিধি:

সদ্য ঘোষিত কালারমারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি বাতিলের দাবীতে কয়েক শত ছাত্রলীগ কর্মী সড়কে বিক্ষোভ করেছে। পরে বিক্ষোব্ধ ছাত্রলীগের কর্মীরা ব্যারিকেট দিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে ১ ঘন্টা যাবৎ সড়ক অবরোধ করে রাখায় মহেশখালী উপজেলার চালিয়াতলীস্থ উভয় সড়কে আটকে পড়ে কয়েকশত যানবাহন। পরে অবশ্যই পুলিশ এসে উত্তেজিত ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক বসে ব্যারিকেট তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে উঠে।

অভিযোগ উঠেছে, মহেশালী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হালিমুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমদ বাবু অর্থের বিনিময়ে কালারমারছড়া ইউনিয়নের সাবেক শিবিরের সভাপতি রেজাউল করিমের ভাই মির কাসেমকে সভাপতি, জামায়াত নেতা মোহাম্মদ ছৈয়দ আহমদের পুত্র আবদু মজিদকে সাধারণ সম্পাদক, নাশকতা মামলার আসামী জিয়াবুলকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কালারমারছড়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা শাখার সাবেক শিবিরের সভাপতি তানভীর হাসান তাফসীরকে সহ-সম্পাদক করে এবং সংগঠনের জন্য নিষ্ক্রীয় থাকা ও অছাত্রদের নিয়ে কালারমারছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা দেয়ায় ত্যাগী শত শত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী গত ১১ ফেব্রুয়ারী বিকেলে মহেশখালীর প্রবেশ দ্বার কালারমারছড়া চালিয়াতলী ষ্টেশনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। এ সময় সড়কে টায়ার জ¦ালানোর কারণে ষ্টেশনের উভয় সড়কে কয়েক শত যানবাহন আটকে পড়ে যায়। সংবাদ পেয়ে কালারমারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোহাম্মদ শাহ্জাহান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে উক্ত স্থানে এসে বিক্ষোব্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে ব্যারিকেট তুলে নিতে সক্ষম হন। এতে আটকে পড়া যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে উঠে।

এ প্রসংঙ্গে উপস্থিত ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আমির হোছাইন মনু, ছাত্রলীগ নেতা হাসান উদ্দিন শাওয়াল, মুজিবুল হাসান মুজিব, আমিনুল হাছান মজনু, মোর্শেদ আলমসহ শতাধিক ছাত্রলীগ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের কমিটিতে অধিকাংশ পদে শিবিরের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ও নাশকতা মামলার আসামী বিধায় এ ছাত্রলীগ কমিটি কোন অবস্থাতে ত্যাগী নেতারা সহজে মেনে নিতে পারছে না। এ কমিটি বাতিল করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্নবীদ ও সংগঠনের জন্য ত্যাগী এমন কর্মীদের দিয়ে গ্রহণযোগ্য একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করার জন্য দাবী জানান। অন্যথায় এ প্রহসন মূলক কমিটি বাতিল না করলে আমরা সামনে আরো বৃহত্তম কর্মসূচি দিয়ে সদ্য ঘোষিত বাতিল করতে বাধ্য করব।

আরো বলেন, এ ব্যাপারে ইউনিয়নে কোন ধরণের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় ভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, সম্পাদককে নিতে হবে। এ দিকে সদ্য ঘোষিত কমিটির সভাপতি আবু হানিফা ছৈয়দ সোহেল, যুগ্ম সম্পাদক ফারদিন নাহিন শাকিল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম মোহাম্মদ জিহান, উপ-প্রচার সম্পাদক ফাহিম রাহান হিরা ও সহ-সম্পাদক আবদুল জলিল সহ অনেকে এ কমিটিকে অনস্থা জানিয়ে অনতি বিলম্বে নতুন কমিটি ঘোষণার দাবী জানান।