মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

আগামী সপ্তাহের যেকোন দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সেফহোমে থাকা ইয়াবাবাজদের আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ করানো হবে। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপি, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম, চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার পিপিএম সহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) ও জেলা পুলিশের মুখপাত্র মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ইয়াবাবাজদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের জন্য জেলা পুলিশের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে। মোট কতজন ইয়াবাবাজ আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে- এ প্রশ্নের উত্তর জানাতে মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন অস্বীকৃতি জানালেও প্রায় একশ’জন ক্ষুদ্র, মাঝারী ও বড় মাপের ইয়াবাবাজকে আত্মসমর্পণের জন্য প্রস্তুত করানো হচ্ছে বলে অন্য একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানিয়েছেন।

আগামী বৃহস্পতিবার ১৪ ফেব্রুয়ারি আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম কক্সবাজার সফরে আসলে তাঁর সার্বিক নির্দেশনায় ইয়াবাবাজদের আত্মসমর্পণের আনুষ্ঠানিকতা ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় চুড়ান্ত করা হবে। তিনি জানান-এ বিষয়ে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই গণমাধ্যমকে বিস্তারিত অবহিত করতে পারবো বলে আশা করছি।

আত্মসমর্পণকারীদের আইনী বিষয় কি হবে-এ প্রশ্নের উত্তরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন জানান-মাদক কারবারীদের আত্মসমর্পণের বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য সম্পূর্ণ নতুন ও প্রথম একটা বিষয়। তাই এ বিষয়ে আইনী ও অন্যান্য জটিলতা নিরসনে আইনজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ সহ আরো বিভিন্ন বিষয় পরিস্কার করেই অত্যন্ত সতর্কতার সাথে আমাদের এগোতে হচ্ছে।

তিনি বলেন-ইয়াবাবাজদের শিকড় উপড়ে ফেলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য, তাই এই কঠিন টার্গেটে পৌঁছাতে আমাদের অনেক ঝুঁকি নিয়ে শ্রম, মেধা, ত্যাগ ও সময় ব্যয় করতে হবে। এই দুঃসাধ্য কাজ সফল করার জন্য তিনি সিভিল প্রশাসন সহ সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, এ অভিযান থেকে আমরা কোনঅবস্থাতেই পেছনে থাকাব না। যেকোন মূল্যে আমরা ইয়াবাবাজদের মূল উৎপাটন করব ইনশাল্লাহ্।