মো:ফিরোজ খান
গৃহবধূ আর কোনদিন বলবেনা সুখ-দুখের কথা
স্বামীর অপেক্ষায় থাকবেনা জোছনাময় রাতে
প্রতীক্ষায় গুনবে না কখন আসবে প্রিয়জন
আঁচলে ফুল ও প্রদীপ হাতে দাড়িয়ে থাকবেনা।
—
দরজা খুলে থাকবেনা বসে অপেক্ষায় বৃদ্ধা মা
গৃহবধূ জানতে পেরেছিলো স্বামীর মৃত্যুর কথা
তার স্বামী বহুদূরে চলে গেছেন এই দেশের জন্য
এই দেশের মানুষের মাতৃভাষা অধিকার দিতে।
—
চলে গেছেন শহীদ হয়ে মাটিকে রক্তাক্ত করে
দাঁড়িয়ে থাকবে না গৃহবধূ মুড়ি ও মোয়া নিয়ে
খুকিমনি বলবেনা তার বাপজান কে-সেই কথা
বাবা তুমি লাল ফোরক আনবে পুতুলের জন্যে।
—
ধরবেনা ছোট ছেলেটি বায়না বলের জন্য
বাবা চলে গেছেন-সেই অনেক দূরে বহু দূরে
এই আমাদের মাতৃভাষা বাঙ্গালীর বাংলার জন্য
জননী বৃদ্ধ বয়সে মোড়া নিয়ে থাকবেনা বসে।
—
খোকা কখন আসবে বাড়িতে-সেই প্রতিক্ষায়
শুধুমাত্র চোখের কোনে দুফোটা জল থাকবে
চলে গেছে না ফেরার দেশে তার একমাত্র খোকা
আর কেউ কোনো দিন অপেক্ষায় থাকবেনা।
—
থাকবেনা কেউ আনন্দে মাঠে-ঘাটে,নদী-বিলে-
মাতৃভাষাকে রক্ষা করার ফলাফল স্বাধীনতা
হাজার সন্তান প্রাণ দিয়েছন স্বাধীনতার জন্য
গুলি খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলো বাঙ্গালী।
—
তবুও বার বার তারা দেখতে চেয়েছিলো-
জন্মধারনী মায়ের মুখটি শেষ বারের মতোই
মানিব্যাগে রাখা ছিলো বৃদ্ধা মায়ের একটি ছবি
দেখতে সময় পায়নি দেশের বিজয়ী বাঙ্গালীরা।
–
দেখা হলোনা প্রেয়সীকেও-শেষ নিশ্বাস যেতে
দেশের ভাষার জন্য শান্তির জন্য ওরা নেই বেচেঁ
তবে আমরা তাদের জন্যই ফিরে পেয়েছি
আমাদের মায়ের মধুর ভাষা বাংলা ভাষাকে।।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।