নিজস্ব প্রতিবেদক :

কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে দলের মনোনয়ন ফরম কিনলেন হেভিওয়েট প্রার্থী খোরশেদ আলম কুতুবী। তিনি আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এসময় তার সাথে ছিলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর, সাধারণ সম্পাদক নুরুছফা বি কম, জেলা পরিষদ সদস্য মাস্টার আহমদ উল্লাহ বি.কম, কুতুবদিয়া ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ন হায়দার, জেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খোরশেদ আলম। একই দিন ফরম জমা দিয়েছেন তিনি।

কুতুবদিয়া উপজেলা তিনজন মনোনয়নন জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- কুতুবদিয়া তিন জন প্রার্থী ফরম জমা দিয়েছে যথাক্রমে খোরশেদ আলম কুতুবী, বড়ঘোপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী  এবং জেলা পরিষদের সদস্য আহমদ উল্লাহ বি.কম। ‍কিন্তু এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও আহমদ উল্লাহ বি.কম তাদের স্থানীয় সরকার পদ থেকে পদত্যাগ করেননি।

জানা গেছে, খোরশেদ আলম কুতুবী কুতুবদিয়ার জনগণের কাছে একজন গ্রহণযোগ্য শক্তিমান নেতা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে জীবন শুরু করেছিলেন খোরশেদ আলম কুতুবী। জীবনের মধ্য গগণে এসেও তিনি এই আদর্শকে আঁকড়ে ধরে জীবন পার করছেন। এই আদর্শবলে তিনি জনগণের খুব কাছাকাছি যেতে সক্ষম হয়েছেন। তাই আওয়ামী লীগের তৃণমূল তাঁকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য প্রার্থী বলে মনে করছেন।

খোরশেদ আলম কুতুবী বর্তমানে কক্সাবজার জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমর্বায় বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। স্কুল জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি দিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন। সেই থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এই কারণে দলে তাঁর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। এতে তিনি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ভোটের মাঠে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এসব গুণের কারণে কুতুবদিয়ার জনগণ তাকে ভোট দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার জন্য একতাবদ্ধভাবে বদ্ধপরিকর হয়েছেন।

খোরশেদ আলম কুতুবীর জীবন বৃত্তান্ত ঘেঁটে দেখা গেছে, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরপরই তাঁর অট্রোগ্রাফ নিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতে প্রবেশ করেন খোরশেদ আলম কুতুবী। পরে তিনি কুতুবদিয়া হাইস্কুল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পান এবং ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত কুতুবদিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পাশপাশি জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক এবং রাঙ্গুনিয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগেরও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সাল থেকে ৯২ সাল পর্যন্ত কুতুবদিয়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯২ সাল থেকে ৯৫ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্বর পালন করেন। একই সাথে জেলা যুবলীগের সদস্য ছিলেন। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০০ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত যুগ্ম-আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ জাহাঙ্গীর করিব নানক-মির্জা আজমের নেতৃত্বাধীন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমর্বায় বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব রয়েছেন। এসব দায়িত্ব পালন করতে তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দুঃসময়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। শিকার হয়েছেন নানা জুলুম-নির্যাতনের। তারপরও তিনি কোনো দিন পিছপা হননি।

কুতুবদিয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, খোরশেদ আলম কুতুবী একজন আওয়ামী লীগ প্রেমিক পাগল মানুষ। তাঁর শরীরে বহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। এই কারণে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সান্নিধ্য পেয়েছেন। এসব কারণে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সবার চেয়ে যোগ্য খোরশেদ আলম কুতুবী। তাই তাঁকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি তৃণমূলের। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে তিনি বিএনপির কবল থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদটি ‘উদ্ধার’ করতে পারবেন নিশ্চিত।