-সিরাজুল কাদের
আশরাফুল মাখলুকাতের সম্মূখপানে পদচিহ্নের এক একটি ক্ষণে ব্যস্ততম জীবনের ঘন্টাধ্বনি কখন যে কোনদিক থেকে কিভাবে বেজে উঠে আঁচ করা বড়ই মুশকিল। কেননা এতেইতো পরম করুনাময়ের শ্রেষ্টত্ব; স্রষ্টার এই বিধানে আগাম কোন পরিকল্পনা মানবকূল অদ্যবদি যথার্থতার মূখ দেখেনি এবং দেখবেওনা। এই ব্যাপারে আগে থেকে সতর্কীকরণ জারি আছে, কালকে কি হবে এবং মৃত্যুর পরে কি হবে এ ক্ষেত্রে মহান রবই বেশি ওয়াকিফহাল!

আজ তথাকথিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের ধ্বজাধারী জ্ঞান পাপীরা বলে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নেই। এতে আবার পাপাচারের নতুন মাত্রা যোগ করেছে সম্প্রতি স্টিফে ন হকিংয়ের মৃত্যু পরবর্তী তার মেয়ে বাবার অপ্রকাশিত বই প্রকাশের মাধ্যমে যেখানে উদ্ধৃত আছে মৃত্যুর পরে নাকি কিছু নেই। সন্দেহ নেই তিনি শতাব্দীর শ্রেষ্ট বিজ্ঞানী “বিগ ব্যাং” থিওরির প্রণেতা;যিনি বিজ্ঞানের জটিল সমীকরনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানবজাতিকে বুঝাচ্ছেন কয়েক শতাব্দীর মধ্যে পৃথিবী নামক গ্রহটি তার অস্তিত্ব হারিয়ে বাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। এ ক্ষেত্রে তিনি কখনো কাল্পনিক এ্যালিয়েন এবং তাদের বাসের ক্ষেত্র সন্ধানে লিপ্ত আবার কখনো মানব জাতির জন্য অন্যগ্রহে বাসযোগ্য স্থান খুঁজতে তৎপর ছিলেন। এখন আবার তার ফাইনাল বুক “Brief Answer to the big question” এ লিখেছেন সৃষ্টি কর্তা বলতে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই, যন্ত্রদানবেরা মনুষ্যের উপর কর্তৃত্ব করবে এবং এক পর্যায়ে মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে এবং মহাশূন্যে বুদ্ধিভিত্তিক জীবনের সম্ভবনা সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। আর এই বই সম্প্রতি আমাজনের বেস্ট সেলার হিসেবে রেকর্ড স্থাপন করেছে। উল্লেখ্য Washington Post, CNN এবং Telegraph সহ First World এর বিভিন্ন নামীদামী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এই বই স্টিফে ন হকিং এর পক্ষ থেকে পৃথিবীর মানুষের জন্য আরেকটি সেরা বই এবং শেষ উপহার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
প্রসংগক্রমে এখানে আমার কর্ম জীবনের একটি বিষয় আলোকপাত না করে পারছিনা: ২০০৭ এর ঘটনা আমি তখন আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এম, এস, এফ হল্যান্ড এর টেকনাফ বেসিক হেলথ কেয়ার প্রজেক্টের অধীনে ট্রানসলেটর কাম মেন্টাল হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করি। ঐ সময় এক স্বনামধন্য বিদেশী সাইকিয়াট্রিসটের সাথে আমার কাজ করার সুযোগ হয় স্বনামধন্য এইজন্য বললাম তার সাথে কাজ করার প্রারম্ভে তিনি আমি সহ মেন্টাল হেল্থ প্রোগ্রামে কর্মরত কাউন্সিলরদের কাছ থেকে BAM Test নিলেন। Test এ তিনি আমাদেরকে একটি করে শীট এবং পেন্সিল দিলেন এবং বললেন একটি করে ফলবান বৃক্ষ অংকন করার জন্য। যেমন কথার তেমন কাজ যথারীতি ফলবান বৃক্ষ অংকন করে যার যারটা সে সে জমা দিয়ে দিলাম। এরপর আমাদেরকে একেকেজন করে ডেকে নিয়ে টেস্টের বর্ণনামূলক রেজাল্ট শুনানো হলো, রেজাল্ট শুনে তো আমি রীতিমত হতবাক আমার জীবনাচরণ, জীবন পদ্ধতি, ব্যবহার, স্বপ্ন, কর্ম, ইচ্ছা এবং মানসিক অনুভূতি ইত্যাদির উপর Comparative Analysis জানিয়ে দিল যার অধিকাংশ বর্ণনা আমার জীবনের সাথে মিলে গেল। এরপর অনুরুপভাবে অন্যান্য কাউন্সিলারদের রেজাল্ট ও আমার চাইতে আরো জীবন্ত এবং বাস্তবসম্মত ছিল। কাজ শেষে কাউন্সিলরগন আমার সাথে আলাপ করল এবং আশ্চর্য্যচান্বিত হয়ে ক্রমাগত জিজ্ঞেস করছিল কিভাবে একজনের জীবনের সাথে একটি BAM টেস্ট মিল যায়? এখনো যখন আমি টেস্ট এর রেজাল্ট নিয়ে ভাবি তখন শুধু প্রশ্নের ভিন্নতা উদ্রেক হয় কিভাবে একজন মানুষের জীবন নিয়ে এই রকম জীবন্ত বর্ণনা সম্ভব। এখানেই তার স্বনামধন্যতার বহি:প্রকাশ। উল্লেখ্য ঐ কাউন্সিলারদের মধ্যে আমার স্মেহাস্পদ ছোট ভাই এবং কলিগ জামালও ছিল;অবশ্য বর্তমানে সে UNHCR এ সম্ভবত Protection officer হিসেবে কর্মরত আছে। দেশে গেলে জামাল এখন ও বিস্মিত হয়ে সেই BAM টেস্টের স্মৃতিচারণ করে। কাজের ধরনকে যথাযথভাবে বুঝা এবং মেন্টাল হেলথ এ্যাকটিভিটিস গুলোর সফল বাস্তবায়নের নিমিত্তে ট্রেনিং সহ আরো অনেক ইন্টেরেস্টিং বিষয় সন্নিবেশিত ছিল। সে অনেক লম্বা বর্ণনা।
ট্রেনিংয়ে একটি টপিকসের মধ্যে Traditional treatment এর বিশ্লেষণধর্মী বর্ণনা ছিল যার মধ্যে ঝাড, ফোঁক, দম দেওয়া, কবিরাজী, বৈদ্য, পীর সহ অনেকগুলো বিষয উঠে আসে। এখানে সাইকিয়াট্রিস্ট মহোদয় একটি বিষয় বুলেট পয়েন্ট আকারে সংজ্ঞায়িত করে ছিল তা হল যখন মানুষ তার উচ্চাকাংখায় ভরপুর প্রত্যাশাগুলো যেমন স্বাস্থ্য, ধন এবং প্রতিপত্তি ইত্যাদিতে প্রত্যাশা এবং বাস্তবতার সম্মিলন দেখতে না পায় তখন তার মধ্যে এক মানসিক বিকারগ্রস্থতা স্থান করে নেয় যা তাকে প্রতিনিয়ত অলীক স্বপ্নে বিভোর ঐ ধন, স্বাস্হ্য এবং প্রতিপত্তি সম্বলিত গুপ্তধন পাওয়ার তাডনাগুলো তার কাল্পনিক রংগিন জগতে আমি তো এটা পাব বা চেষ্টা করলে পেতে পারি, এই উপসর্গ গুলো তীব্র গতিবেগে তার ব্রেইন সেলগুলোকে উদ্দীপ্ত করে। তখন সে সম্ভাব্য উপায় খুঁজে পাওয়ার জন্য প্রায় পাগলপারা হয়ে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় তথাকথিত ফকির, দরবেশ, বৈদ্য ওঝা সহ কবিরাজদের স্মরণাপন্ন হয়।

সম্মানিত পাঠক এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য করবেন যখন বাস্তবতার নিরিখে মানুষ তার এই অলীক উচ্চাকাংখাগুলোর কোন কিনারা খুঁজে না পায় তখন সে এখানে টোটালি হোপলেস। যার রেশগুলো তাকে উপরোল্লেখ্য কুসংস্কারচ্ছন্ন সড়কের নিয়মিত পথচারী হিসেবে অদৃশ্য মণ্ত্রমুগ্ধ বাহুডোরে আবদ্ধ করে,শেষতক ফলাফল বহুল প্রচলিত সেই ঘোড়ার ডিম্ব। সুতরাং হোপলেস বা আশাহীন হয়ে গেলে তখন সোশ্যাল মেইনস্ট্রিমে তার ক্রমাগত অধ:পতন ঘটতে থাকে যার ফলশ্রুতিতে সমাজ, সংস্কৃতি, স্রষ্টা এবং সৃষ্টির প্রতি নেতিবাচক এবং বিরুপ ধারনা স্থান করে নেয়। আর তখনই উদ্ভট চিন্তা, তত্ত্ব এবং তথ্যের বেড়াজালে মানুষকে সে বিভ্রান্ত করা শুরু করে, আর তথাকথিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ধ্বজাধারী জ্ঞানপাপীরা ঐ উদ্ভট তত্ত্ব-তথ্য বিভ্রাটে পড়ে দুনিয়া ব্যাপী আপডেটেড জেনারেশনের নামে বিভ্রান্তির রাজত্ব কায়েম করে যার জঠর থেকে নাস্তিক-মুরতাদ এবং বেশ্যাবৃত্তি, বেলাল্লাপনা এবং এ্যালকোহলিকতা সহ সমাজ সংস্কৃতিতে বিভাজন সৃষ্টিকারী অনুসঙ্গগুলো জন্ম নেয়। এরই পরিক্রমায় এই বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীরা জ্ঞান -বিজ্ঞানের গবেষণার নামে শুধু স্রষ্টা বিরুদ্ধ তত্ত্ব-তথ্যের প্রচার প্রসারে লিপ্ত থাকে। যার একটি অনাকাংখিত, বিদ্বেষমূলক এবং সোশ্যাল হারমোনিতে বিভেদ সৃষ্টিকারী ক্রমবর্ধমান ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে অন্যান্য সময়ের চেয় ঢের বেশী। আরে ভাই, আজব তো! মানব এবং প্রকৃতির নানান বিষয়গুলোর বৈশিষ্ট এবং বিশেষত্বকে গবেষণার মাধ্যমে ভূ- প্রকৃতি ও মানব কল্যাণের অনেক বিষয় রয়েছে যা নিয়ে তাত্ত্বিক -ব্যবহারিক এক্সপেরিমন্ট এবং রিসার্চের আজ অনেক বেশী প্রয়োজন। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকারের ক্যান্সার, এইচ আই ভি এইডস, ডায়বেটিকস, হাঁপানি, পারকিনসনসহ অনেক রুগের পূর্ণ প্রতিষেধক বের হয়নি; এগুলো শুধু চিকিৎসা ক্ষেত্রে ;আরো অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেমন প্রাণীজগৎ, উদ্ভিদ জগৎ এবং বিভিন্ন ধরনের দু্র্যোগ ইত্যাদি।
এখানে ধর্ম এবং স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাসের যে অভিধায় যুগ যুগ ধরে চলমান তাকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং প্রগতির সাথে সাংঘর্ষিক ভাবার অবকাশ আছে বলে মনে করিনা বরং ধর্মই স্রষ্টার সৃষ্টিতে আমাদের জ্ঞানের নিদের্শনের কথা বিধৃত করেছে সেইসাথে সৃষ্টি জগতের রহস্য নিয়ে অধ্যয়ণ এবং গবেষণার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে। হ্যাঁ! এখানে উল্লেখ্য সীমালংগনকারীদের ব্যাপারে সতর্কবানী করা হয়েছে “তোমরা সীমা লংঘন করনা” সীমালংগনকারীদের আল্লাহতা’লা পছন্দ করেন না। আর যারা সীমা লংঘন করেছে তারা কাল পরম্পরায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যা ঐতিহাসিক এবং তথ্য-তত্ত্বগতভাবে প্রমাণিত সত্য। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে এই যমানার তথাকথিত ধর্মীয় অপব্যাখ্যার জ্ঞানী-বিজ্ঞানীরা এই শ্রেণীতে অন্তর্ভূক্ত করে নিজেদের ভয়াবহ পরিণতি ডেকে এনে কেউ বিকলাঙ্গতা, মানসিক বিকৃতি সহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধীতায় আক্রান্ত হয়ে অন্যের গলগ্রহ জীবন ধারন করে যণ্ত্রনাময় পরিণতি নিয়ে অন্তিমযাত্রায় গমন করেছে যা সমসাময়িক খবরের পাতায় বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছে।
আজ একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে অবস্থান করে বিভিন্ন ধর্মের লেবাসধারী কিছু অত্যোুৎসাহী এক্সট্রিমিজম বা চরম উগ্রতাবাদীতায় নিয়োজিত কিছু গ্রুপ এবং দলের কারনে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে বিশ্বব্যপী মিস কনচেপশন তৈরী হয়েছে যা সত্যিকার অর্থে অনভিপ্রেত! তবে এই বিকারগ্রস্ত এক্সট্রিমিস্ট এবং বিপথগামীদের সংখ্যা বৈশ্বিক ধর্মীয় জনগোষ্টীর তুলনায় খুবই ক্ষুদ্র এবং নগন্য! উল্লেখ্য এরাও সীমা লংঘন কারীদের কাতারে।
কেন ধর্মীয় মূল্যবোধকে বিজ্ঞানের অন্তরায় হিসেবে বিশ্বব্যপী জাহির করার প্রচেষ্টা চলছে আমার মত অনেকেই অজ্ঞাত। পক্ষান্তরে ধর্মীয় বাতাবরণ এবং অনুশাসনে থাকা মানুষগুলোর জীবন পরিচ্ছন্ন নিয়ম শৃংখলায় ভরপুর সে যে ধর্মেরই হোক। অথচ ধার্মিকতা মানুষকে যাবতীয় পাপাচার এবং অনিষ্টটা থেকে রক্ষা করে সুশীতল এবং স্নিগ্ধতায় পরিপূর্ণ জীবনের নিশ্চয়তা প্রদান করে যা সর্বজন বিদীত সত্য। এতে কেন তথাকথিত বিজ্ঞানীদের গাত্রদাহ তা বুঝতে চেষ্টা করলে অপ্রিয় হলেও সত্য কেমন জানি মনে হয় তারা যেন আন্তর্জাতিকভাবে সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করার এজেন্ডা নিয়ে পদচারণা করছে। তারা দৃশ্যে-অদৃশ্যে মানব সমাজে অস্থিতিশীল ধর্মের পক্ষ – বিপক্ষ গ্রুপ সৃষ্টি করে সুন্দর বসুন্ধরাকে অন্ধকারের অতল গহ্বরে ধাবিত করতে চাই। কিন্তু ঐতিহাসিক এবং নিরেট সত্য হচ্ছে ধর্মই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানবজাতিকে দুরাচার, পাপ-পন্কিলতা, হানাহানি, নৈরাজ্য এবং বিশৃংখলাময় অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে সুশৃংখল জীবন দান করেছে।
আজ বড়ই আফসোস ধর্মীয় অনুশাসনের বৃত্ত থেকে বিচ্যুত হয়ে আমরা আধুনিকায়নের নামে আমাদের ঘাড়ে সওয়ার হওয়া কিম্ভূতকিমাকার এবং অনৈতিকতার চাদরে আবৃত অধ:পতিত সংস্কৃতিকে বরণ করে খাদিজা, তনু এবং আকাশ-মিতুদের মত অনেক ঘটন-অঘটনের সারিবদ্ধ সামাজিক অপ্রীতিকর ঘটনার কালের নিরব এবং জীবন্ত স্বাক্ষী হচ্ছি! এই প্রেক্ষিতে চোখ বুজে যদি আগামী একটি দশকের কথা ভাবি তাহলে দেখা যাবে আমাদের সমাজের ভয়াবহ নৈতিক বিপর্যয়ের বিভিন্ন নিদের্শক বিষাক্ত নাগিনীদের মত করে দলবদ্ধভাবে ফণা তুলে ছোবল মেরে নীল বিষে আক্রান্ত করার প্রতীক্ষায়। এখন থেকে যদি সতর্ক না হয় তাহলে সার্বিক সামাজিক অবক্ষয় থেকে দেশ এবং জাতিকে রক্ষা করা দুরূহ হয়ে পড়বে। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্র যণ্ত্রের সর্বক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে যথারীতি ধর্মীয় অনুশাসনের সর্বোচ্চ চর্চা এবং প্রয়োগই একটি সুন্দর সমাজ এবং দেশগঠনের ক্ষেত্রে মৌলিক ভূমিকা পালন করতে পারে।
সুতরাং নৈতিক শিক্ষাই এখানে উপজীব্য আর এর প্রধান আধার ধর্মীয় মূল্যবোধ।ধার্মিকতা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের উপযোপযোগী রসায়ণেই নীতি এবং নৈতিকতা সমৃদ্ধ উন্নত সমাজ ব্যবস্থার গতিশীল ধারা আমাদের অনাগত দিনগুলোকে সফলতার বন্দরে পৌঁছে দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে!

“তবেই আসবে কল্যান এ ধরায়,
নৈতিকতার পথ বেয়ে।
জাগবে আবার বিশ্ব-জাহান
রয়েছে যা অন্ধকারে ছেয়ে।”