বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শতভাগ বিদ্যুতায়ন হবে। সেই যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নয়ন হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ভিডিও কনফারেন্স’র মাধ্যমে মহেশখালীর মাতারবাড়ির ১৩২/৩৩ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের প্রতিটি এলাকার মানুষ বিদ্যুৎ পাবে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারে শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ভিডিও কনফারেন্স জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় ও বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজার বিমান বন্দর আর্ন্তজাতিকমানের উন্নিত হচ্ছে। কক্সবাজার জেলা একটি পর্যটন এলাকা। তাই কক্সবাজারের আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর পর্যটন শিল্পের জন্য অনেক গুরুত্ব বহন করে। তাই পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারকে আরো আধুনিকভাবে সাজাতে আমরা কাজ করতে চাই। রোহিঙ্গার কারণে যাতে স্থানীয়দের কোন সমস্যা না হয় সে বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে। কক্সবাজারের সাথে ঢাকার সরাসরি রেল যোগাযোগ হবে। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যেভাবে উন্নয়ন করা হয়েছে চট্টগ্রামের সাথেও একই ভাবে সড়ক যোগাযোগ আরো উন্নত করা হবে।
কক্সবাজারের মানুষ দেশের বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ও রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যে ধৈর্য্য দেখিয়েছেন এতে জেলাবাসীকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডঃ সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী ও কর্মজীবি চু-সাইন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, মহেশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোছাইন ইব্রাহীম, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য আনোয়ার পাশা চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য রুহুল আমিন, মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, মোশারফ হোসেন খোকনসহ জেলা-উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষনেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।