শাহীন মাহমুদ রাসেল:

তিনশ’ থেকে চারশ’ ফুট উপরে উঠে হাওয়ায় ভেসে যদি সমুদ্র ও পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যেত, তবে কেমন হতো! কল্পনা নয়, বাস্তবে এখন সম্ভব হচ্ছে পর্যটন শহর কক্সবাজারে। যার নাম প্যারাসেইলিং। দিন দিন যা পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া গেলে প্যারাসেইলিং-এর মাধ্যমে কক্সবাজারকে বিশ্বের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলে ধরা সম্ভব। এদিকে জেলা প্রশাসন বলছে, পর্যটনবান্ধব পরিকল্পনা নিয়ে বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসলে সহযোগিতা করা হবে।

নিচে সমুদ্রের অথৈ নীল জলরাশি। উপরে আকাশের হাতছানি। এই নিয়ে রোমাঞ্চকর এক ভ্রমণ। স্পিডবোটের সাথে বেঁধে বিশেষ প্যারাসুটের সাহায্যে আকাশে ঘুরে বেড়ানোর নাম প্যারাসেইলিং। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমুদ্র সৈকতে এটি দেখা গেলেও এখন কক্সবাজারেও পর্যটকদের জন্য বিনোদনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন থেকে চারশ’ ফুট উঁচুতে হাওয়ায় ভেসে সমুদ্র ও পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ, যা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইতোমধ্যে।
প্যারাসেইলিং করা এক পর্যটক বলেন, পাখি উড়ার যে অনুভূতি সেটা আমার হয়েছে।

প্যারাসেইলিংয়ের মাধ্যমে কক্সবাজারের পর্যটনকে বিশ্বের কাছে আরও ভালোভাবে তুলে ধরা সম্ভব। এজন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার বলে মনে করেন এর উদ্যোক্তারা। স্যাটেলাইট ভিশন সী স্পোর্টস প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর আনোয়ার হোসাইন নয়ন বলেন, সরকার যদি আমাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয় এটা থেকে আরো উন্নত সেবা পাওয়া সম্ভব।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানালেন, পর্যটনবান্ধব পরিকল্পনা নিয়ে বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসলে তাদের সহযোগিতা করা হবে।
তিনি বলেন, এই ধরণের পর্যটক বান্ধব পরিকল্পনা যদি তারা নিয়ে আসে তাহলে সেগুলোকে আমরা উৎসাহিত করবো।
বেসরকারি সংস্থা স্যাটেলাইট ভিশন সী স্পোর্টসের উদ্যোগে কক্সবাজার সৈকত থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে দরিয়ানগর ও হিমছড়ি সৈকতে অবস্থিত এ প্যারাসেইলিং। যা করা যাবে সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত।