মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ সাহসিকতায় বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রীয় পদক বিপিএম (বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল) পেয়েছেন। পুলিশ সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষ্যে সোমবার ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ সদরদপ্তরের প্যারেড মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে নিজে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ (বিপি: ৭২৯৫০৮৪৪২)কে এই গৌরবময় পদক প্রদান ও ব্যাজ পরিয়ে দেন। এর আগে ২৯ জানুয়ারি টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ সহ সারাদেশে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সর্বমোট ৩৪৯ জন বিপিএম ও পিপিএম পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। সাহসিকতায় বিপিএম পদক প্রাপ্তির জন্য সারাদেশের মনোনীত ৪০ জন পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নাম ২৬ নম্বর ক্রমিকে ছিল। একই অনুষ্ঠানে কক্সবাজার জেলার স্বনামধন্য পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন সহ জেলা পুলিশের আরো ৪ জন কর্মকর্তা এই সম্মানজনক পদক পেয়েছেন। পদকপ্রাপ্ত অন্যানরা হলেন-কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার পিপিএম (সাহসিকতা), টেকনাফ মডেল থানার এসআই (নিরস্ত্র) শরিফুল ইসলাম পিপিএম (সাহসিকতা), একই থানার এসআই (নিরস্ত্র) রাসেল আহামদ পিপিএম (সাহসিকতা)।

বিপিএম পদক প্রাপ্তির পর টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ এ প্রতিবেদকের কাছে মুঠোফোনে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন-পুরো দেশে মাত্র ৪০ জন সাহসিকতায় বিপিএম পদক পেয়েছেন। তাঁরমধ্যে তিনিও মূল্যায়িত হওয়ায় তাঁর কাজের গতি ও উৎসাহ আরো বাড়বে বলে ওসি প্রদীপ কুমার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি এজন্য টেকনাফ থানা পুলিশের সকল সদস্য ও টেকনাফের সকল নাগরিকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ওসি প্রদীপ কুমার দাশ তাঁর এই বিরল সম্মানের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক (বিপিএম-পিপিএম), কক্সবাজারের স্বনামধন্য পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন (বিপিএম) সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। ওসি প্রদীপ কুমার দাশ তাঁর পেশাগত জীবনে আরো সাফল্যের জন্য সকলের কাছে আর্শিবাদ ও আন্তরিক সহযোগিতা চেয়েছেন।