মহসীন শেখঃ
কক্সবাজার শহরে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে এবং বেদখলে যাওয়া সরকারী জমি উদ্ধারে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে দুদক। অভিযানের দ্বিতীয় দিন শহরের কলাতলীস্থ নতুন জেল গেইট এলাকায় প্রায় ৪০ একর সরকারী জমিতে পাহাড় কেটে গড়ে উঠা ৫০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি বহুতল ভবন ও পাকা স্থায়ী ভবনও রয়েছে।

সোমবার ( ৪ ফেব্রুয়ারী ) সকাল ১০টা থেকে বিকাল পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে সহায়তা করেন জেলা প্রশাসন,পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পুলিশ ও র‌্যাব। এ সময় সরকারী জমি দখল ও পাহাড় কাটার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ জোবায়ের নামের এক জনকে আটক করা হয়। সে ওই এলাকার আজিজুর রহমানের ছেলে। পাহাড় কাটার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম পরিবেশ আদালতে একটি মামলা বিচারাধীন বলে জানা গেছে।

দুদক জানিয়েছে, সংস্থার অভিযোগ কেন্দ্রে অভিযোগ আসার পর তাদের তত্ত্বাবধানে পাহাড় কাটা ও সরকারী জমি দখলের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়।

দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে পরিবেশবিধ্বংসী ও সরকারী জমি অবৈধ ভাবে দখলে নেয়ার মতো তৎপরতা প্রতিহত করার কঠোর নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সকালে অভিযান শুরু করে বিকালে শেষ হয়। অভিযানের নেতৃত্বদেন দুদকের চট্রগাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সেলিম শেখ ও পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কাযয়ালয়ের সহকারী পরিচালক কামরুল হাসান।

অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া দুদকের চট্রগাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন বলেন, ‘দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী স্যারের নির্দেশ পরিচালিত যৌথ এ অভিযানে কক্সবাজার শহরে পাহাড় কাটা বন্ধের পাশাপাশি প্রায় ৪০ একর সরকারী জমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত এক জনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পেছনে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ প্রসঙ্গে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘পাহাড় কাটা, সরকারী জমি অবৈধভাবে দখলে নেয়ার মতো পরিবেশবিধ্বংসী ও আইন বিরোধী কাজের প্রধান কারণ দুর্নীতি। প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নজরদারির অভাবে এই ধ্বংসযজ্ঞ ঘটছে। দুদক পাহাড় কাটার ঘটনার পেছনে দুর্নীতির উৎস অনুসন্ধান ও তদন্ত করবে। দায়ী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’