মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি :

বান্দরবানের লামা উপজেলার ইয়াংছা ও সাঙ্গু মৌজার বিভিন্ন ঝিরি, ছড়া ও পাহাড় খনন করে অবাধে পাথর উত্তোলনের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবাধে পাথর উত্তোলন বন্ধ এবং এ কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন এলাকাবাসী। রবিবার সকালে স্থানীয় শিমন জালাই ত্রিপুরা, চংপাট মুরুং ও জমির উদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন। অভিযুক্তরা হলেন- কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ভেন্ডিবাজার এলাকার বাসিন্দা মৃত নুরুল কবিরের ছেরে মহি উদ্দিন, মো. এনাম, ফরহাদ, মো. জলিল, মনো মেম্বার ও ওমর হামজাসহ আরো বেশ কয়েকজন।

অভিযোগে জানা যায়, পরিবেশ রক্ষার্থে পাহাড় কাটা, প্রবাহিত ঝিরির স্বাভাবিক গতি পরিবর্তন, পাহাড়, ঝিরি ও ছড়া খনন করে পাথর উত্তোলনসহ বারুদ দ্বারা পাথর ব্লাস্টিং করনের ওপর সরকারীভাবে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অথচ অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোন ধরণের অনুমতি ছাড়াই পাথর উত্তোলন করছে। উপজেলার সাঙ্গু মৌজার হরিণঝিরি, পাইকঝিরি, কাপঝিরি, কেরানী ঝিরি, শিলেরঝিরি, চিনির ঝিরি, বাঁকখালী খাল, ঝিরিসহ ইয়াংছা মৌজার বিভিন্ন স্থানে শতশত শ্রমিক দ্বারা পাহাড় ও ঝিরি খনন করে অবৈধভাবে দিনরাত পাথর উত্তোলন করছে অভিযুক্তরা। শুধু তাই নয়, পাথর আহরনে রাস্তা তৈরি করতে ব্যাপকহারে পাহাড় ও বৃক্ষ নিধন করে পরিবেশের বারোটা বাজাচ্ছে তারা। এছাড়া বড় বড় টি.এস গাড়ি যোগে পাথর পাচারের কারণে এলাকার রাস্তা ঘাট ভেঙ্গে চুরে তছনছ হয়ে যাচ্ছে। আবার ঝিরি ও পাহাড় খুঁড়ে পাথর উত্তোলনের কারনে উৎস্য নি:শেষ হয়ে পাহাড়ি পল্লীগুলোতে তীব্র পানি সংকট দেখা দিয়েছে।

এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার লোকজন জানান, দিনের বেলায় শত শত শ্রমিক দিয়ে পাহাড় ও ঝিরি খুঁড়ে পাথর উত্তোলন করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে স্তুপ করে। পরবর্তীতে রাতভর ট্রাক যোগে স্তুপকৃত পাথর নিয়ে যায় ওই পাথর খেকো সিন্ডিকেট সদস্যরা। পাথর পাচারের কারনে রাত ঘুমানো যায়না। এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।