বিশেষ প্রতিবেদক:
বিশ্বের দীর্ঘতম সমূদ্র সৈকতের আকাশে হঠাৎ ঘুড়ির মিছিল। আকাশে উড়ছে ডলফিন-মাছরাঙা-অক্টোপাস। যা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন আগত দেশী বিদেশী পর্যটকরা। তাই বাঙালী জাতির এ ঘুড়ি উৎসবকে ধরে আহবান জানিয়েছেন আয়োজক ও অংশ গ্রহণকারীরা।
বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের আয়োজনে শুক্রবার (১ ফ্রেবুয়ারী) বিকেলে কক্সবাজার সমূদ্র সৈকতের সুগন্ধ পয়েন্টে দুইদিন ব্যাপী এ ঘুড়ি উৎসবের উদ্ধোধন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। এসময় আকাশে উড়বে বাংলা ঘুড়ির পাশাপাশি আধুনিক ঘুড়ি বেসাতি, ড্রাগন, ডেল্টা, মাছরাঙা, ঈগল, ডলফিন ও অক্টোপাসসহ অর্ধ-শতাধিক ঘুড়ি।
বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক শাহজাহান মৃধা বেনুর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মিঃ ঝাং ঝু, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা।
অংশ গ্রহণকারীরা বলছেন, প্রত্যেক বছর যদি বিশে^র দীর্ঘতম এ সমুদ্র সৈকতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়ে তাহলে পর্যটন শিল্প বিকাশে ভুমিকা রাখবে এ উৎসব।
অংশ গ্রহণকারী ইসরাত ইমরান বলেন, ঢাকায় আমরা ছোট বেলায় প্রচুর ঘুড়ি উড়াতাম। এখন আর সেই খোলা আকাশ নেই। তাই বিশে^র দীর্ঘতম সমূদ্র সৈকতের মতো জায়গায় ঘুড়ি উড়াতে পেরে খুব ভাল লাগছে। আমি মনে করি প্রতি বছর এ ধরণের আয়োজন করা দরকার।
আসিফুল হোসাইন কায়সার বলেন, খোলা আকাশ পাশে সমুদ্র ঘুড়ি উড়াতে খুব ভাল লাগতেছে। অনেক বছর পর ঘুড়ি উৎসবে অংশ গ্রহণ করতে পেরে খুব ভাল লাগছে।
নাসরিন সোলতানা বলেন, আমি চট্টগ্রাম থেকে এসেছি। ঘুড়ি উড়াতে খুব ভাল লাগে। আগামীতেও এ উৎসব ধওে রাখার আহবান করছি।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, দেশের পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে বর্তমান সরকার কাজ করছে। সেই সাথে নিত্য নতুন কর্মসূচী হাতে নিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে আজকের এই ঘুড়ি উৎসব। স্থানীয়দের পাশাপাশি এ ঘুড়ি উৎসবে মেতেছে পর্যটকরা। যা আগামীতেও আয়োজন করা হবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত মিঃ ঝাং ঝু বলেন, এধরণের ঘুড়ি উৎসব চীনে এক সময় হতো। এখন তেমন একটা হয়না। তাই এই দীর্ঘ সমূদ্রের পাশে এসে ঘুড়ি উঢ়াতে পেরে খুবই ভাল লাগছে।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ঘুড়ি উৎসব ঘিরে সমূদ্র সৈকতে কঠোর নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ঘুড়ি উৎসব শুরু হয়েছে। যা পর্যটকরা নিজেদের মত করে উপভোগ করছে।
বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক শাহজাহান মৃধা বেনু বলেন, আর্থিক সংকট থাকলেও সফলভাবে উদ্ধোধন হয়েছে ঘুড়ি উৎসবের। আগামীতে বাঙালীর ঐতিয্যে’র এ ঘুড়ি উৎসব আয়োজনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।