ফারুক আহমদ, উখিয়াঃ

ভুল প্রশ্নপত্র দিয়ে উখিয়ায় এস.এস.সি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র ও উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দিয়ে অনেক শিক্ষার্থী ২০১৯ সালে ইংরেজী প্রথম পত্র বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এর ফলে অর্থাৎ ভুলপ্রশ্ন পত্র দিয়ে পরীক্ষা দেওয়া শির্ক্ষাথীদের ভবিষ্যৎ কি হবে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপার আমিনুল এহসান মানিক ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, ভুলপ্রশ্নপত্র দিয়ে যেসব শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে এসব উত্তর পত্র আলাদা প্যাকেট করে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করা হয়েছে। সাথে ভুলপ্রশ্নপত্রেও পাঠানো হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলাম মিয়া এস.এস.সি পরীক্ষায় ভুলপ্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা দিলেও তিনি কিছুই জানেন না বললেও অপর এক প্রশ্নের জবাবে যদি ভূলপ্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা দেওয়া হয় উত্তর পত্রে মূল্যায়নের সময় ওই কোড নম্বরের প্রশ্ন দিয়ে নম্বর দেওয়া হবে।
সচেতন অভিভাবগণ জানান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি জানার পরও এড়িয়ে গিয়ে নিরব ভূমিকা পালন করায় বিষয়টি রহস্যজনক। অভিভাবক প্রশ্ন ভুলপ্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ভাগ্য এখন কি হবে। কেন শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি আমলে এনে তড়িত ব্যবস্থা নেননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় উখিয়ায় এস.এস.সি পরীক্ষা শনিবার শুরু হয়েছে। প্রথম দিন ছিল ইংরেজী পরীক্ষা। উপজেলায় ৩টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ২শত ২৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।
স্থানীয় সচেতন অভিভাবক জানান, তাদের অনেক শিক্ষার্থী ২০১৮ সালের সিলিবাস অনুযায়ী সরবরাহকৃত ইংরেজী প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। ঠিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার কিছু সময় আগে ঘটনা জানা জানি হলে পরীক্ষার্থীরা হাউ মাউ করে কেঁদে উঠে। আর অভিভাবকরা হতাশ হয়ে মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, ভুলপ্রশ্নপত্র দিয়ে ইংরেজী প্রথম পত্র পরীক্ষা দেওয়ার ঘটনাটি ফাঁস হয় পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে। পরে অবশ্যই এধরনের ঘটনা উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ঘটেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের হল সুপার মাস্টার আব্দুর রহিম এধরনের ভুলপ্রশ্নপত্র দিয়ে কোন পরীক্ষা হয়নি বলে জানালেও পরে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, অসুস্থতার কারণে বেলা ১২ টার সময় হল ত্যাগ করে বাড়ীতে চলে আসেন।
ভুলপ্রশ্নপত্র দিয়ে ইংরেজী পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনাটি জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে (শনিবার রাত ৭ টা ৪৯ মিনিট) উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলাম মিয়া এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে অস্বীকার করে এড়িয়ে গিয়ে বলেন, পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র সচিবের সাথে যোগাযোগ করতে।
সুশীল সমাজের প্রশ্ন এস.এস.সি পরীক্ষায় এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল অথচ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কিছুই জানেনি বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
২০১৮ সালের পরীক্ষার্থী ইংরেজী বিষয়ে প্রশ্নপত্র দিয়ে কিছু সংখ্যক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে মর্মে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সুপার আমিনুল এহসান মানিক অনাখাংকিত ভুলের কারণে এ সমস্যাটি হয়েছে। বিষয়টি আমাকে পরীক্ষার্থীরা জানান সাথে সাথে চট্টগ্রাম বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণকে ঘটনাটি অবহিত করা হয়। তিনি অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, চট্টগ্রাম বোর্ড তাকে আশ্বস্থ করে বলেন, ভুলপ্রশ্নপত্র দিয়ে যারা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এসব শিক্ষার্থীদেরকে উক্ত প্রশ্নের কোড নম্বর দিয়ে উত্তর পত্রের মূল্যায়ন করা হবে। সুতরাং শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে হতাশ ও আতংক না হওয়ার অনুরোধ জানান।