জাহাঙ্গীর আলম শামস 
কক্সবাজার পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ডের লাইট হাউজ, ফাতেরঘোনাসহ উচ্ছেদের শিকার জনগণ শনিবার ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
বিক্ষোভকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল সেখানে পৌঁছলে বাসস্থান ফেরতসহ ৬ দফা দাবী পেশ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন।
বৃহত্তর লাইট হাউজ, ফাতের ঘোনার ছাত্র ও যুব পরিষদের পক্ষ থেকে প্রদত্ত দাবীসমূহ হলোঃ
১. অতি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের খাদের কিনারায় অবস্থিত ঘর বাড়ি ছাড়া কোন বাড়ি উচ্ছেদ অভিযান করা যাবে না।
২. পাহাড়ের ঝুঁকি নির্ণয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন পরিবেশবিদ নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
৩. পাহাড় না কাটার শর্তে বর্তমান বাসস্থানে আমাদের বসবাসের সুযোগ দিতে হবে।
৪. আমরা কোন রকম পূনর্বাসন চাই না। চাই না কোন চাকরীর নিশ্চয়তা। চাই না রোহিঙ্গাদের মত মাসিক ভাতা। আমরা শুধু চাই আমাদের বেচেঁ থাকার একমাত্র সম্বল মাথা গোজার একমাত্র ঠাঁই।
৫. এই এলাকার পাহাড় কাটা তথা জলবায়ু সুরক্ষায় প্রশাসন, পরিবেশবিদ, নগর পরিকল্পনাবিদসহ এলাকার জনপ্রতিনিধির সম্বনয়ে একটি বন, পরিবেশ ও জলবায়ু সুরক্ষা কমিটি গঠন করতে হবে।
৬. ১২ নং ওয়ার্ড তথা লাইটহাউজপাড়া, ফাতের ঘোনা, সৈকত পাড়ার ২০ হাজার মানুষের জন্য একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।
গত ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি বিনা নোটিশে কক্সবাজার শহরের ১২নং ওয়ার্ডের ফাতের ঘোনায় শতাধিক বসতি উচ্ছেদ করে প্রশাসন। এরপর থেকে শত শত মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। শীতের কনকনে আবহাওয়ায় মানবেতর সময় কাটছে সেখানকার বাসিন্দাদের।
অসহায় মানুষদের সান্তনা দিতে যান সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি।
এই সময় মাননীয় সংসদ সদস্যের সাথে ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী মোরশেদ আহমেদ বাবুসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন।
তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সর্বস্তরের হাজার হাজার জনতা, নারী পুরুষ, শিশু ও স্কুল ছাত্র বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
বিক্ষোভরত মানুষকে সান্তনা দিতে গিয়ে সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেন, এভাবে সাধারণ মানুষকে উচ্ছেদ কোন সমাধান হতে পারে না। এমন অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে দেশের জনগণের ক্ষতি করলে রাষ্ট্র তথা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। যেখানে রাষ্ট্র জনগণের অধিকার আদায়ে সচেষ্ট সেখানে প্রশাসন জনগণের ক্ষতি করতে ব্যস্ত, তা একটি সভ্য সমাজের জন্য কলংকিত বৈ আর কিছু নয়।
দুদককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দেশে দূর্নীতি করতেছে এমন বড় বড় লাঘব বোয়াল আছে। আপনারা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান না চালিয়ে অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেন, যা একটি সভ্য সমাজ,রাজনীতিবীদ ও রাষ্ট্রের জন্য লজ্জা ছাড়া আর কিছুই নয়।