সোয়েব সাঈদ:

রামুতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে বসত বাড়িসহ সর্বস্ব হারিয়ে মানবেতর সময় কাটাচ্ছে ৪টি পরিবার। অগ্নিকান্ডের ৭দিন পার হলে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং জনপ্রতিনিধিরা অগ্নিকান্ডস্থলে যাননি। ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের আওতাধিন পূর্ব খরুলিয়া নয়াপাড়ায় এ অগ্নিকান্ড ঘটে। অগ্নিকান্ডে পাশাপাশি থাকা ৪টি বসত বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ভষ্মিভূত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির বাসিন্দারা হলেন, এমদাদ মিয়ার ছেলে ফরিদুল আলম, জহির উদ্দিন, জসিম উদ্দিন ও মো. নাছির উদ্দিন।

ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পুড়ে যাওয়া বাড়িগুলোর মধ্যে কাঠের এবং সেমি পাকা বাড়ি ছিলো। প্রথমে কাঠের তৈরী একটি বাড়ির রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হলে তা সবকটি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের তীব্রতা বেশী থাকায় এসব বাড়ির সদস্যরা প্রাণে বাঁচলেও কোন মালামাল রক্ষা করতে পারেননি। রামু ফায়ার সার্ভিসের দমকল কর্মীরা খবর পেয়ে অগ্নিকান্ডস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালালেও ততক্ষণে সব পুড়ে একাকার হয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্তরা আরো জানান, অগ্নিকান্ডে ৪টি পরিবারের প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ১ সপ্তাহ পার হলেও অর্থাভাবে এখনো বসবাসের ঘর করতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্তরা। ফলে তীব্র শীতের মধ্যে কেউ স্বজনদের কাছে আবার অনেকে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর সময় পার করছে।

জানা গেছে, অগ্নিকান্ডের পর থেকে এ পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা কিংবা উপজেলা পরিষদের কোন জনপ্রতিনিধি এখনো অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের কোন প্রকার সহায়তা করেননি। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতেও যাননি।

ক্ষতিগ্রস্ত গৃহকর্তা রামু চৌমুহনী নাছির কম্পিটার এর স্বত্ত্বাধিকার মো. নাছির উদ্দিন জানান, অগ্নিকান্ডে কয়েকবছর পূর্বে তৈরী করা তাঁর সেমিপাকা বাড়ি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। ৪টি পরিবারের অনেক সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন, বিভিন্ন পরীক্ষার সনদপত্র, জমির দলিল সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, বাড়ির আসবাবপত্র আগুনে পুড়ে গেছে। আবারো বসত বাড়ি তৈরী কিংবা সব কিছু নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা তাদের জন্য এখন অনেক কষ্টকর হয়ে গেছে।

শুক্রবার রাতে এ ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে রামু উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলী হোসেন জানান, তিনি বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ কারনে অগ্নিকান্ডস্থলে এখনো যেতে পারেননি।

এ ব্যাপারে জানার জন্য শুক্রবার রাতে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লুৎফুর রহমানের মুঠোফোনে কল করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।