সংবাদদাতাঃ
কক্সবাজারে বিশাল খাসজমি দখল করে বানিজ্যিক কলোনী নির্মান করে ভাড়া দিয়েছে দখলবাজরা। পৌর শহরের পশ্চিমপার্শ্বে জেলে পার্ক ময়দান সংলগ্ন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সরকারী বাসভবনের পিছনের খাসজমিতে রাতারাতি গড়ে তোলা এ স্হাপনা ছিনতাইকারী ও অপরাধীদের আড্ডাস্হলে পরিণত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বাসভবনের পিছনে ৫০ গজের মধ্যেই উত্তর-দক্ষিন লম্বা বিশাল সেমিপাকা কলোনী নির্মান করা হয়েছে। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের রানওয়ে বরাবর দক্ষিন দিকের খাসজমিতে নির্মিত উক্ত অবৈধ কলোনীতে ৫ /৬ টি ভাড়া বাসা রয়েছে। ভাড়াটিয়াদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রফিক মুন্সী নামের এক লোক এই সেমিপাকা ভবন নির্মান করে ভাড়া দিয়েছে। প্রতিমাসে বাসাপ্রতি ৬ হাজার টাকা করে ভাড়া আদায় করছে বলেও জানান ভাড়াটিয়াগন।
এলাকাবাসী জানান, কিছুদিন আগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বাসার পিছনে বিশাল আকারের এ খাসজমিটি রাতারাতি দখলে নিয়ে উঁচু টিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। এরপর রাতের আঁধারে ইট-সিমেন্ট ও অন্যান্য নির্মান সামগ্রী এনে ৩০/ ৪০ জন শ্রমিক ও মিস্ত্রী নিয়োগ করে প্রতিরাতে চুপিসারে নির্মানকাজ চালায় রফিক মুন্সী।
সূত্রে প্রকাশ, খাসজমিতে উক্ত কলোনী নির্মানের সময় তৎকালীন সহকারী কমিশনার ভূমি নাজিম উদ্দীনকে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে বশীভূত করা হয়। ফলে নির্বিঘ্নে নির্মানকাজ শেষ করা হয়।
এভাবে একসপ্তাহের মধ্যেই সেমিপাকা ভবন নির্মানকাজ শেষ করে ভাড়াটিয়া ঢুকিয়ে দেয়। এ ছাড়াও নির্মিত ভবনের সামনে আরো বিশালাকার খাসজমি টিন দিয়ে ঘিরে দখলে নিয়েছে উক্ত রফিক মুন্সী।
বিমান বন্দরের মূল রানওয়ে বরাবর ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সরকারী বাসার পিছনে ১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত সরকারী উক্ত জমি দখল করে এভাবে অবৈধ স্হাপনা নির্মান এবং সংলগ্ন আরো জমি বে-দখল হয়ে গেলেও এ নিয়ে যেন কারো মাথাব্যাথা নেই। এলাকাবাসী জানান, এর অদুরবর্তী কবিতা চত্বর, ডায়াবেটিক পয়েন্ট ও শৈবাল পয়েন্টে সক্রিয় ছিনতাইকারী চক্রের আস্তানায় পরিণত হয়েছে উক্ত অবৈধ কলোনী। এর ফলে আইনশৃংখলা পরিস্হিতি অবনতি হচ্ছে।