দৈনিক শিক্ষা ডটকম :

বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের জন্য একটি সুখবর। বেসরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপকরাও সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। যুগ যুগ যাবত সরকারি কলেজের শিক্ষকরা প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক, সহকারী থেকে সহযোগী অধ্যাপক এবং সহযোগী থেকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়ে আসলেও বেসরকারি শিক্ষকরা প্রভাষক থেকে শুধু সহকারী অধ্যাপক হতে পারেন। গত প্রায় দুই দশক যাবত বেসরকারি কলেজ শিক্ষকরা সহযোগী ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতির দাবি জানিয়ে আসলেও কোন কাজ হয়নি।

তবে, এসবের অবসান হতে চলছে। বেসরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপকরা এখন থেকে পদোন্নতি পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক হতে পারবেন। অর্থাৎ পদোন্নতির একটি ধাপ বাড়লো। সহযোগী অধ্যাপক হতে হলে সহকারী অধ্যাপক পদে এমপিওভুক্তির তিন বছর পূর্তি হতে হবে। ৩:১ অনুপাতে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। শিক্ষা জীবনে তৃতীয় বিভাগ থাকলে সহযোগী অধ্যাপক হতে পারবে না। জনবল কাঠামো ২০১৮ এর সংশোধনী বিষয়ে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একসভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আরেকটি সভাশেষে খুব শিগগিরই এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেলেই প্রজ্ঞাপন জারি করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের কয়েকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।

এক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি ও দৈনিক শিক্ষার উপদেষ্টা সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, একই কারিকুলাম, সিলোবাস অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করিয়ে বেসরকারি শিক্ষকরা সারা জীবনে একটি মাত্র পদোন্নতি পান। আর তা হলো প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক। তাও সবাই নন। একটি নির্দিষ্ট অনুপাতে। এই অনুপাতের বিরুদ্ধে আমরা কথা বলে আসছি বছরের পর বছর ধরে।

সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দেরিতে হলেও এবার একটি ধাপ এগোতে পারলাম। তবে, নতুন শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর কাছে আমার দাবি সহকারী অধ্যাপক পদে অনুপাত প্রথা তুলে দিন এবং অধ্যাপক পদেও পদোন্নতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিন।’

প্রবীণ এই শিক্ষক নেতা বলেন, ২০০৪ সালে সহযোগী ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত হয়েছিলো। কিন্তু বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির বিরোধীতায় তা বাস্তবায়ন হয়নি। এবারও যেন সিদ্ধান্তটি চাপা না পড়ে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেতে যেন দেরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের।