প্রেস বিজ্ঞপ্তি
কক্সবাজার লাইট হাউস মাদ্রাসার পরিচালক পদ থেকে দূর্নীতির দায়ে বহিস্কৃত মাওলানা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা হেফাজতে ইসলামের সংবাদ সম্মেলন নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসনে বিবৃতি দিয়েছেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারণী ফোরাম। দেশের সর্ববৃহৎ দ্বীনি ও আধ্যাত্মিক এ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ আজিজুল হক ইসলামাবাদী প্রেরিত এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, জামিয়া আহলিয়া দারুল উলুম হাটহাজারীর মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী, বিশ্ব বিখ্যাত আরবী সাহিত্যিক, চট্টগ্রাম দারুল মা’আরিফ আল -ইসলামিয়ার মহাপরিচালক আল্লামা সুলতান যওক নদভী, আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক আল্লামা আব্দুল হালিম বোখারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে মাওলানা মোহাম্মদ আলী অমার্জনীয় ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে। যা মুসলিম উম্মাহর আধ্যাত্মিক অভিভাবক আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা.বা.) সহ সকল ওলামায়েকেরামের শানে চরম বেয়াদবীর শামিল। তার এহেন ধৃষ্টতায় হেফাজতে ইসলাম নেতৃবৃন্দ চরমভাবে মর্মাহত হয়েছেন এবং তৌহিদী জনতাও ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। তাই হেফাজতে ইসলামের নীতি নির্ধারণী ফোরাম মাওলানা মোহাম্মদ আলীকে কক্সবাজার জেলা হেফাজতে ইসলামের সহ-সভাপতিসহ সকল পদ-পদবী থেকে বহিস্কারের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।

এরই প্রেক্ষিতে আমীরে হেফাজত আল্লামা শাহ আহমদ শফী (দা.বা.) এর নির্দেশনার আলোকে কক্সবাজার জেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন হাবিব গত ২৬জানুয়ারী সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম থেকে মাওলানা মোহাম্মদ আলীকে বহিস্কারের ঘোষণা দেন। সেই সাথে তাকে অবাঞ্ছিতও ঘোষণা করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও প্রতিনিধিত্বশীল ওলামায়েকেরাম উপস্থিত ছিলেন। অতএব সেই সংবাদ সম্মেলনকে অপপ্রচার বলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোন অবকাশ নেই। এটি হেফাজতে ইসলামেরই সিদ্ধান্ত।