টানার তৃতীয়বারের মতো জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী।

বুধবার বিকাল ৩টায় একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের শুরুতেই নিয়মানুযায়ী স্পিকার নির্বাচন করা হয়।

স্পিকার পদে শিরীন শারমিনের নাম প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তা সমর্থন করেন নূর-ই-আলম  চৌধুরী ।

প্রস্তাবটি ভোটে দিলে ‘হ্যাঁ’ বলে তাতে সমর্থন জানান সংসদ সদস্যরা।

পরে অধিবেশনে কিছু সময়ের জন্য বিরতি দেয়া হয়। এসময় নির্বাচিত স্পিকার শিরীন শারমিন সংসদ ভবনে অবস্থানরত রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে শপথ নেন।

নবম সংসদের শেষ দিকে জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর আবদুল হামিদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে শূন্য হয় স্পিকারের আসন, সেই স্থানে আসেন সংসদ সদস্য শিরীন শারমিন।

সেবার প্রথমবারের মতো আইনসভায় এসে চার বছরের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করেই সংসদ প্রধানের পদে বসেন শিরীন শারমিন। আর এই পদে তিনি প্রথম নারী।

নবম সংসদে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত হয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে পৈত্রিক এলাকা নোয়াখালীর চাটখিল আসনে সরাসরি অংশ নিতে চাইলেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি তিনি। এরপর সংরক্ষিত মহিলা আসন থেকে সংসদে যেতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান তিনি।

ওই সময় শেখ হাসিনা রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনটি ছেড়ে দিয়ে সেখানে উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী করেন শিরীন শারমিনকে। উপনির্বাচনে আর কেউ প্রার্থী না হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন শিরীন শারমিন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৬ আসন থেকেই নির্বাচিত হন শিরীন শারমিন।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবারও এই পদে রাখার বিষয়ে রংপুরে নির্বাচনী জনসভায় ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পেশায় আইনজীবী শিরীন শারমিনের জন্ম ১৯৬৬ সালে ৬ অক্টোবর ঢাকায়। তার বাবা রফিকউল্লাহ চৌধুরী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একান্ত সচিব; মা অধ্যাপক নাইয়ার সুলতানা বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সদস্য ছিলেন।