নাসির উদ্দীন পিন্টু
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরপরই এবার আলোচিত হয়ে উঠছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের সচিব গণমাধ্যমের কাছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ইঙ্গিতও দিয়েছেন। এই ঈঙ্গিত প্রদানের পরপর সারা দেশের ন্যায় কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আমেজ শুরু হয়েছে।

বিশেষ করে আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে একাধিক প্রার্থী নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছেন। নির্বাচনে নিজের পক্ষে সমর্থন ও দোয়া চেয়ে মাঠে তাঁরা ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নেতাকর্মীদের নিয়েও মতবিনিময় সভা করে যাচ্ছেন এসব প্রার্থীরা। এবার উপজেলা পরিষদর নির্বাচনে চেয়ারম্যানের পদে নতুন মুখ দেখা যাচ্ছে। বেশ কয়একজন প্রার্থীর নাম গ্রামীন জনপদে নেতাকর্মীদের মুখে মুখে উচ্চারিত হচ্ছে।

সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম লোকের মুখে শোভা পাচ্ছে তাঁরা হলেন- কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ছাত্রনেতা আবু তালেব, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল আবছার, কক্সবাজার সদর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল করিম মাদু, কক্সবাজার জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক কাইছারুল হক জুয়েল, বাংলাদেশ তাঁতীলীগ কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর তাঁতীলীগের সহ-সভাপতি এবং কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রামু ডিগ্রী কলেজ শাখার সাবেক সহ-সম্পাদক আজিজুর রহমান চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের জেলার সাধারণ সম্পাদক এড. একরামুল হুদা। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক, বর্তমান জলালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ, কক্সবাজার জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম।

জানা গেছে, আলোচনায় থাকা প্রার্থীদের মধ্যে সবাই যার যার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ও যোগ্য। তাই এবার কক্সবাজার সদরে প্রার্থী নির্বাচনে বেশ চমক থাকতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে আলোচনায় থাকায় প্রার্থীরাও নিজেদের আরো এগিয়ে রাখতে এবং যোগ্যতাকে তুলে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা বলছেন, দেশের বড়দল হিসেবে আওয়ামী লীগে অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকতে পারে। এসব যোগ্য প্রার্থীর মধ্যে থেকেই সর্বাধিক যোগ্যদের প্রার্থী দিতে হবে। যোগ্যতা বিচারে সব কিছুকে গুরুত্ব দিতে হবে। জনমানুষের সাথে সম্পৃক্ততা, রাজনীতিতে অতীতের অবদান, বর্তমান কর্মকান্ড, দলের জন্য ত্যাগ এবং সর্বসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্যতাকে বিবেচনায় নিতে হবে।