জাহাঙ্গীর আলম, উখিয়া
উখিয়ার ইনানী স্কুলের দুর্নীতির খবর প্রকাশ হলে ইনানী স্কুল শিক্ষকদের টনক নড়ে।
২৬ জানুয়ারী ইনানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক বৈঠকে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে বলেন আমাদের ভুল হয়েছে আমাদের ক্ষমা করেন।ওই সময় অভিভাবক ও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক শামশুল আলম বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ও কোচিং বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দূর্নীতি নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন।
এনিয়ে স্কুল কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আদনান চৌধুরী স্কুল শিক্ষকদের বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতিকে জনগনের সামনে তুলে ধরে বলেন, শিক্ষকরা এভাবে অনিয়ম দুর্নীতি করলে তারা আগামী প্রজন্মকে কি উপহার দেবে? এমন শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষা অর্জন করে কোন শিক্ষার্থী ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দুর্নীতি ছাড়া কিছুই উপহার দিতে পারবেনা।
সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসাইন চৌধুরী বলেন, গণমাধ্যমে ইনানী স্কুল শিক্ষকদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ায় আমার দৃষ্টিগোচর হয়। আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে স্কুল শিক্ষকদের আত্নসাৎকৃত সকল টাকা ফেরৎ দিতে বলি।
সভায় উপস্থিত কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, শিক্ষকরা তাদের ভুল শিকার করেছে। এনিয়ে কারো মামলা হামলাতে যাওয়ার দরকার নেই। তারা আবারো যদি এই ধরনের ভুল করে তাহলে তাদের আর ছাড় দেওয়া হবেনা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক নাজিমুদ্দিন মেম্বার, জালিয়াপালং ইউনিয়নের কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম, নুরুল হাকিম চৌধুরী, ইনানী আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু কায়সার পিপলু, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম, পরিবেশ মানবাধিকার সোসাইটির সভাপতি এম.মোস্তফা কামাল, মোলভী মনজুর, এডঃ ফয়েজ, অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি, ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুছ ভুট্টো, জাফর উল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলম প্রমুখ