সিবিএন ডেস্ক:
তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ফেসবুকে ভুয়া খবর ঠেকানোর বিষয়ে আরও কঠোর হচ্ছে ফেসবুক। যেসব পেজ ও গ্রুপ থেকে ভুয়া খবর ছড়ানো হবে তা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বুধবার এ বিষয়ে সতর্ক করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে, কোনো পেজ বা গ্রুপের ক্ষেত্রে যদি কমিউনিটি গাইডলাইন ভাঙার প্রমাণ পাওয়া না যায়, তারপরও ভুয়া খবর ছড়ালে সক্রিয়ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফরচুন অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ফেসবুকের পক্ষ থেকে পেজের ব্যবস্থাপকদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, ফেসবুক যদি কোনো কনটেন্ট মুছে ফেলে বা সরিয়ে দেয় বা যে পোস্টের কারণে কোনো পেজ বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে তা আবার নতুন পেজে পোস্ট করা হয় তবে সে পেজও বন্ধ করে দেওয়া হবে।

রাশিয়ার উৎস থেকে তৈরি ৩৬৪টি পেজ বন্ধ করে দেওয়ার পর ফেসবুকের পক্ষ থেকে ভুয়া খবর রোধে এমন ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা এল। ওই পেজগুলোর বিরুদ্ধে সমন্বিত ভুয়া আচরণের অভিযোগ করেছে ফেসবুক।

এক ব্লগ পোস্টে ফেসবুক বলেছে, বিস্তৃত তথ্যের ওপর নির্ভর করে তারা নীতিমালা প্রয়োগ করবে। বিশেষ করে পেজের নাম বা একই অ্যাডমিন কিনা তা খতিয়ে দেখবে।

ফেসবুকের নিয়ম অনুযায়ী, নিষিদ্ধ বা বাতিল হওয়া পেজের অনুরূপ পেজ তৈরি করার সুযোগ দেয় না তারা। তবে দুর্বৃত্তরা একধাপ এগিয়ে থেকে তাদের অন্য পেজগুলোকে এ নেটওয়ার্কের আওতায় আনে এবং সেখানে ভুয়া খবর ছড়াতে থাকে।

এর আগে ফেসবুক হিস্টরি নামের এক ফিচার এনেছে যাতে গ্রুপ ও পেজের জন্য চালু করা হয়। এতে গ্রুপ কখন তৈরি হয়েছে, এর আগের নামসহ বেশ কিছু তথ্য দেখতে পান ব্যবহারকারী।

ফেসবুক ঘোষণা দিয়েছে তারা পেজ ও গ্রুপের জন্য ‘পেজ কোয়ালিটি’ নামের একটি আলাদা ট্যাব চালু করবে। এ ফিচারটির মাধ্যমে কনটেন্ট বাতিল, নীতিমালা ভঙ্গের কারণসহ বিস্তারিত তথ্য থাকবে। পেজের বিষয়টিকে আরও স্বচ্ছ করতে ফেসবুক এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ভুয়া খবরকে ফেসবুক তাদের প্ল্যাটফর্মে ‘অস্তিত্ব-হুমকি’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানায়। মার্কিন এ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ভুয়া খবর ও তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বড় আকারের দল গঠন করেছেন।

ফেসবুকের নিউজ পার্টনারশিপ বিভাগের প্রধান মনীশ খানদুরি বলেন, ‘প্ল্যাটফর্মে হুমকি হয়ে আছে ভুয়া খবর। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ভুয়া খবর ঠেকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে ফেসবুক। পর্নোগ্রাফির মতো যদি কোনো পোস্ট কমিউনিটির মানদণ্ড ভঙ্গ করে, এর জন্য শক্তিশালী প্রক্রিয়া আছে এবং তা দ্রুত নামিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কেউ যখন কোনো পোস্টকে কোনো দলের রাজনৈতিক প্রচার বলে দাবি করে, তখন আমরা সন্দেহের বশে কিছু করতে পারি না।’