নিজস্ব প্রতিবেদক:

হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিলড্রেন অব বাংলাদেশ এর উদ্দ্যোগে ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সের ৩য় ব্যাচের বিদায়ী অনুষ্ঠান হোপ ফাউন্ডেশন নিজস্ব ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কান্ট্রি ডাইরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)  আশরাফুল আফসার প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মিসবাহ উদ্দিন আহমদ, UNFPA-এর মিডওয়াইফারি স্পেশালিস্ট মিস্ রন্ডি এন্ডারসন, হোপ হসপিটালের চীফ মেডিক্যাল অফিসার ডা: ইসমাইল ইদ্রিস। আরো উপস্থিত ছিলেন UNFPA-এর কোয়ালিটি এসিউরেন্স স্পেশালিস্ট ডা: এ.এ সাফায়েতউল্লাহ, মিডওয়াইফারি ফ্যাকাল্টি ডা: তরিকুল ইসলাম ও ডা: শরিফুল কবির শাহিনসহ হোপ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জনাব আশরাফুল আফসার হোপ ফাউন্ডেশনের স্বাস্থ্য সেবা ও শিক্ষা কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয়ের প্রশংসা করেন এবং জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশ্বস্ত করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মিসবাহ উদ্দিন আহমদ হোপ ফাউন্ডেশনের এই ধরনের উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানান। UNFPA-এর মিডওয়াইফারি স্পেশালিস্ট মিস্ রন্ডি এন্ডারসন বিদায়ী মিডওয়াইফদের নতুন পেশায় নিষ্ঠার সাথে কাজ করার জন্য উৎসাহ দেন।

হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডাইরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে জাতিসংঘে অঙ্গীকার করেন যে, বাংলাদেশে ২০১৫ সালের মধ্যে ৩০০০ দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ তৈরী করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেই উদ্দ্যোগকে বাস্তবে রূপান্তরীত করার লক্ষ্যেই ২০১২ সাল থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের একমাত্র বেসরকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিলড্রেন এই ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সটি চালু করে। তিনি বিদায়ী মিডওয়াইফদের সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার আহবান জানান।

এখানে উল্লেখ্য যে, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সটি বৃটিশ সরকারের অর্থায়নে এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় ২০১২ সাল থেকে পরিচালিত হচ্ছে। প্রতি বছর এই কোর্সে ৩০ জন ছাত্রী ভর্তি করা হয়।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রধান অতিথি সদ্য বিদায়ী শিক্ষার্থীদের কিছু মূল্যবান বই, মিডওয়াইফারি পেশার কাজে লাগবে এমন কিছু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (কীটবক্স) পুরস্কার হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন। হোপ ফাউন্ডেশন থেকে ইতিমধ্যে ২টি ব্যাচের ৫৮ জন শিক্ষার্থী ৩ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সটি সম্পন্ন করেছে এবং বর্তমানে তারা মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যু কমানোর কার্যক্রমে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। উক্ত অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন মিডওয়াইফারি প্রোজেক্টর সহকারী প্রজেক্ট ম্যানেজার ইয়াসমিন আক্তার।

হোপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট আমেরিকা প্রবাসী ডা: ইফতিখার মাহমুদ বলেন, কক্সবাজার জেলার তথা বাংলাদেশের মাতৃমৃত্যু, নবজাতক ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো এবং প্রসবজনিত ফিস্টুলামুক্ত করা এবং বাংলাদেশ সরকারের ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমুহ’ অর্জনের জন্যই হোপ ফাউন্ডেশন ১৯৯৯ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। আর এই কাজে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সংবাদপত্র-মিডিয়ার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।