ফরিদুল অালম দেওয়ান, মহেশখালী:
মহেশখালীর মাতারবাড়ীর বহুল অালোচিত হেলাল ডাকাত অবশেষে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে।
২৪ জানুয়ারী ভোর রাতে শাপলাপুরের দ্বীনেশপুর পাহাড়ী ঢালা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহত হেলাল মাতারবাড়ীর হংস মিয়াজী পাড়ার মৃত জাগির হোসেনের পুত্র। তার বিরুদ্ধে ২টি হত্যা,অস্ত্র সহ ১৪ টি মামলা রয়েছে।
এঘটনায় পুলিশের এক সদস্য গুলিবিদ্ধসহ ৪ পুলিশ অাহত হয়েছে এবং ২টি বন্দুক ও ১৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
মহেশখালী থানা সুত্র মতে, মহেশখালী থানার মাতারবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের অাইসি এস,অাই অানিস উদ্দিন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে মাতারবাড়ী সাইরার ডেইল বিলের মাঝখানে অবস্থানরত পরোয়ানাভূক্ত অাসামী কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়া কাটা গ্রামের মোঃ শাহজাহানের পুত্র সাগরকে ধরতে গেলে সাগরের পাশে বসা হেলাল ডাকাত পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে পুলিশ কনস্টেবল টুটুল বড়ুয়া কোমরে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর অাহত হয়। এসময় সঙ্গীয় পুলিশ হেলাল ডাকাতকে একটি দেশীয় তৈরী বন্দুক ও ৭ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করে। পরে হেলালের স্বীকারোক্তিমতে তার অপর সহযোগিরা শাপলাপুরের পাহাড়ী এলাকার অাস্তানায় অবস্থান করছে এমন সংবাদে পুলিশ পাহাড়ে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ দ্বীনেশপুর ব্রীজের পাশে গেলে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা হেলাল ডাকাতের সতীর্থরা পুলিশের উপর গুলি বর্ষণ করে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। প্রায় অাধা ঘন্টা ব্যাপী সন্ত্রাসী ও পুলিশ বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী হেলাল গুলিবিদ্ধ হয়। এসময় সন্ত্রাসীরা পিছু হটে গেলে গুলিবিদ্ধ অাহত হেলালকে উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে অারো ১টি দেশীয় তৈরী একনলা বন্দুক ৯ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ১১ রাউন্ড কার্তুজের খোসাসহ অাহত হেলাল ডাকাতকে উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে অাসা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার রাত ৩টায় হেলালকে মৃত ঘোষণা করে। গুলিবিদ্ধ কনেস্টবল টুটুল বড়ুয়াকে ককসবাজার সদর হাসপাতালে রেফার এবং অাহত অপর ৩ পুলিশ সদস্য শিহাব,নাছির ও শাহাদতকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, নিহত হেলাল ডাকাত দীর্ঘদিন ধরে সড়কে ডাকাতি সহ স্থানীয়দের জানমালের ক্ষতি করে আসছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ডজন মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২টি হত্যা ও অস্ত্র সহ ১৪টি মামলা রয়েছ। মহেশখালীকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করতে পুলিশেরর বিশেষ অভিযান চলবে।