সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
ছয়টি ক্বওমী মাদ্রাসা বোর্ডের সমন্বয়ে গঠিত ‘আল হায়াতুল উলিয়া লিল জামেয়াতিল ক্বওমীয়া বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও বিশ্ববরেণ্য আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া ক্বওমিয়া বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখা।

একই সাথে মিথ্যা মামলাকারি মাওলানা মোহাম্মদ আলীকে কক্সবাজার জেলার প্রতিটি ক্বওমী মাদ্রাসায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) রামু জোয়ারিয়ানালা এমদাদুল উলুম মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া ক্বওমিয়া কক্সবাজার শাখার এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সভায় বলা হয়, দূর্ণীতির দায়ে বহিস্কৃত কক্সবাজার শহরের লাইট হাউস দারুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ আলী নিজের দূর্ণীতি ও অপকর্ম ঢাকার জন্য একজন বিশ্ববরেণ্য আলেমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

সভায় ওই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে সারাদেশে মাওলানা মোহাম্মদ আলীকে বয়কটের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া ক্বওমিয়া কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা হাফেজ আবদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেফাকে’র মহাপরিচালক মাওলানা যোবায়ের আহমদ।

প্রধান অতিথি মাওলানা যোবায়ের আহমদ বলেন, ক্বওমী মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ইচ্ছা ও আল্লামা শাহ আহমদ শফীর আন্তরিকতার কারণেই সম্ভব হয়েছে। ক্বওমী মাদ্রাসার সরকারী স্বীকৃতিকে কাজে লাগিয়ে জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ক্বওমী মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতিটি সরকার যদিও শুধুমাত্র বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া ক্বওমিয়াকে দেয়ার কথা হলেও আল্লামা শাহ আহমদ শফী নিজেই দেশের সব মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতির আওতায় এনেছেন। যা শাহ আহমদ শফীর উদারতার পরিচয় বহন করে।

‘বর্তমান সময়ের জন্য আল্লামা আহমদ শফী সাহেব একজন মোজাদ্দেদে জমান’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর মতে, আল্লামা আহমদ শফী না হলে এই স্বীকৃতির জন্য আমাদের অনেক বছর অপেক্ষা করতে হতো।

কক্সবাজার জেলায় মাওলানা পরিচয়ে একজন ব্যক্তি আল্লামা আহমদ শফীর বিরুদ্ধে মামলা করায় তিনি নিন্দা জানিয়ে বলেন, দূর্ণীতিবাজ ওই মোহাম্মদ আলীর সবধরণের দূর্ণীতি সরকারি ভাবে তদন্ত করতে হবে।

তিনি মোহাম্মদ আলীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

সভায় কক্সবাজার জেলায় বেফাকভূক্ত সব মাদ্রাসার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

এই সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেফাক জেলা সাধারণ সম্পাদক ও সাবরাং মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা নূর আহমদ, মাওলানা মুনির আহমদ, বেফাক বোর্ডের পরিদর্শক মাওলানা আবদুল ওয়াহাব, বেফাকের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি মাওলানা মোহাম্মদ হাসান, হাটহাজারী দারুল উলুম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা নুরুল ইসলাম, জোয়ারিয়ানালা মাদ্রাসার সহকারি পরিচালক মাওলানা আবু বকর, জোয়ারিয়ানালা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা আবদুল্লাহ, বাংলাবাজার যায়েদ বিন সাবেত মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা হাফেজ মুবিনুল হক, বেফাক জেলা হিসাব রক্ষক মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, রামু দাড়িয়ারদীঘি উম্মে আয়মান মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা ক্বেফায়েত উল্লাহ, জোয়ারিয়ানালা দারুল উলুম মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হাফেজ কামাল আহমদ, পালংখালী মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা এমদাদ উল্লাহ, আল ফারুক ইসলামিক সেন্টারের পরিচালক মাওলানা আবদুর রাজ্জাক, জোয়ারিয়ানালা মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আতিকুর রহমান, কাউয়ারখোপ মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আমিনুল হক প্রমূখ।