বার্তা পরিবেশক
মহেশখালীর কালারমারছড়া এসপিএম প্রকল্পের আওতায় মামলা নং-০৮/১৭-২০১৮ কেসের মাধ্যমে সরকারের প্রয়োজনে হুকুম দখল/অধিযাচনকৃত জমির ক্ষতিপুরণ প্রকৃত জমির মালিক ও পান চাষীরা গ্রহণ করেছে। গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে গ্রহণ করা টাকা নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য প্রকাশ করা হয়। যা সম্পুর্ণ প্রকৃত মালিক ও চাষীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সামিল।
বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারী) বিকেলে শহরের একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের বিরুদ্ধে আনিত বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে অবস্থান পরিস্কার করেন প্রকৃত মালিক ও পান চাষীরা।
তারা বলেন, ভুমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে প্রথমে চার ধারায় প্রাথমিক নোটিশ প্রদান করা হয়। উক্ত নোটিশে অনেকের নাম ভুলক্রমে প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ২২ ধারা নোটিশ প্রদানের সময়ও অনেকের নাম নোটিশে প্রদান করা হলেও তাহারা প্রকৃত জমির মালিক এবং পান চাষী নয়। এমনকি তারা ভুগ দখলেও নেয়। ২২ ধারা নোটিশ প্রদানের পর প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত মালিক পক্ষ তাদের যথাযথ কাগজপত্র ও নোটিশসহ ক্ষতিপুরণের টাকার জন্য আবেদন করেন। উক্ত আবেদনগুলোর প্রেক্ষিতে ভুমি অধিগ্রহণ শাখা হতে দায়িত্ব্প্রাপ্ত ব্যাক্তিগণ সরেজমিনে আবেদনপত্রসহ গিয়ে তদন্ত পূর্বক উক্ত জমির প্রকৃত মালিক ও পান চাষী চিহ্নিত করেন। চিহ্নিত প্রকৃত জমির মালিক ও পান চাষীদের ভুমি অধিগ্রহণ শাখার যথা নিয়মে ক্ষতিপুরণের চেক প্রদান করেন। এখনো পর্যন্ত কোন প্রকৃত মালিক ও পান চাষী উক্ত ক্ষতিপুরণ হইতে বঞ্চিত হয়নি। আমরা সংশ্লিষ্ট্য প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করে যাচ্ছে প্রকৃত জমির মালিক ও পান চাষীরা।
যারা অভিযোগ করেছেন তারা কোন প্রকৃত জমির মালিকও নয় এবং বর্গা চাষীও নয় এমনকি অভিযোগকারীদের বৈধ কোন কাগজপত্র নেই।
সংবাদ সম্মেলনে প্রকৃত জমির মালিক ও পান চাষীরা আরও বলেন, ভুমি অধিগ্রহণ শাখার কিছু  চিহ্নিত (মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প কেন্দ্রীক) দালাল, যারা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নোটিশ দ্বারাও চিহ্নিত তারা এলাকার কিছু জনবিচ্ছিন্ন কুচক্রি মহলের মাধ্যমে প্রকৃত জমির মালিক ও পান চাষীদের মানহানির উদ্দেশ্যে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন গণ্যমাধ্যমে অনাকাঙ্খিত সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে। এ চক্রটি এসপিএম প্রকল্পের জমির মালিকদের টাকা আত্মসাত করতে এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যা অত্যান্ত দু:খজনক বলে প্রকৃত জমির মালিক ও পান চাষীরা সংবাদ সম্মেলনে জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও প্রকৃত জমির মালিক নুরুল ইসলাম বাহাদুর।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রকৃত জমির মালিক আব্দুস সালাম, জাফর আলম, মো. ইসহাক, ডা: এনামুল হক, মঞ্জুর আলম, আহমদ উল্লাহ মেম্বার, সালাউদ্দিন পেয়ারো, জালাল উদ্দিন, আব্দুল হান্নান কানু, জহির আহমদ, হামিদ, ছৈয়দ আকবর ফেরষ, নুরুজ্জামান, গিয়াস উদ্দিন, শাহাদাত কবির, আক্তার আহমদ, হাসান আলী, অহিদুল আলম, আব্দুল মাবুদ, আব্দুল মজিদ, মৌলভী আনছার, শাওয়াল আরা বেগম, মোহাম্মদ আলী,  হাফেজ জাকের হোসেন, আব্দুর রহিম ভুট্টু, মৌলভী কায়সার, মৌলভী নুরুল আবছার, আহমদ হোসাইন, মৌ: জয়নাল আবেদীন, নেছার আহমদ, তবারেকা বেগম, মো. তবারেক, রমিজ উদ্দিন, সাবেকুন নাহার, আব্দুর রহমান, এহসানুল হক, জসিম উদ্দিন, ফেরদৌস, ওসমান গণী বাসিন্না, ওসমাণ গণি (বদ), মনিরুল আলম, মাস্টার মুফিজুর রহমান, শকির আহমদ, মোজাম্মেল হক, মৌলভী ইউনূছ, নুরুল আবছার, আবু বক্কর পেচু, আর্মি শামসুল আলম, ছদর আমিন, আকতার আলম, নুরুল ইসলাম, জাফর, মুফিজুর রহমান, হামিদুল ইসলাম, রহমত উল্লাহ, শামসুল আলম, মোস্তাক আহমদ শাহিন, মৌলভী আবু বক্করসহ আরও অনেকে।