নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরের পেশকার পাড়া এলাকায় একটি সন্ত্রাসি বাহিনীর চাঁদা দাবি ও ক্যাবল অপারেটরের ম্যানেজারকে মারধরের ঘটনায় বৃহত্তর ওই এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের (ডিসলাইন) সম্প্রচার। সোমবার (২১ জানুয়ারি) রাত ৮টার পর থেকে পেশকার পাড়া ও আশপাশের এলাকায় ডিসলাইনের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।

ক্যাবল অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (কোয়াক) আনুষ্টানিক ভাবে ওই এলাকায় সম্প্রচার বন্ধ করেছে। সংগঠনটি চাঁদা দাবি ও হামলাকারি সন্ত্রাসিদের গ্রেপ্তার দাবি করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

কোয়াক সূত্র জানিয়েছেন, পেশকার পাড়া এলাকার একদল সন্ত্রাসি গত সোমবার সকালে প্যালেস ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের একজন ম্যানেজার প্রনব দে’কে মারধর করে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এই সন্ত্রাসি বাহিনীটি বেশ কয়েকদিন ধরে ক্যাবল অপারেটর প্যালেস ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিল। তারই অংশ হিসেবে সোমবার ম্যানেজার প্রনবের উপর হামলা চালানো হয়।

কোয়াক সভাপতি সাবেত সুলতান ও সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন জানিয়েছেন, সন্ত্রাসি বাহিনীর চাঁদা দাবি ও ক্যাবল অপারেটর এবং হ্যাডেন মালিকের ম্যানেজারকে মারধরের ঘটনায় বাধ্য হয়ে সোমবার রাত থেকে ওই এলাকায় ক্যাবল টিভি সম্প্রচার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে এসোসিয়েশন।

তারা জানান, এসোসিয়েশন সভা ডেকে আনুষ্টানিক ভাবে সম্প্রচার বন্ধ করেছে।

তারা সন্ত্রাসিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এক বিবৃতিতে ক্যাবল অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (কোয়াক) সন্ত্রাসি বাহিনীর কর্মকান্ডের নিন্দা জানিয়েছে। একই সাথে এই ঘটনার সুষ্টু সমাধান না হলে বৃহত্তর কর্মসূৃিচরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

বিবৃতিদাতা কোয়াক নেতা ও ক্যাবল অপারেটরগণ হলেন কোয়াক সভাপতি সাবেত সুলতান, সহ-সভাপতি শাহেদ মো. এমরান, সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত, অর্থ সম্পাদক কামরুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক এরশাদুজ্জামান সুমন, কোয়াক নেতা আনছার হোসেন, ক্যাবল অপারেটর শওকত আলম (ঈদগাঁও), মুহিবুর রহমান (বাহারছড়া), তারেক আজিজ (ঘোনার পাড়া), বিপ্লব (সিনেমা রোড), সুমন (আইবিপি রোড), খোকা (বাহারছড়া), আসাদুজ্জামান (বাস টার্মিনাল), মুফিজ (খুরুস্কুল), হামিদুল হকসহ (বাংলাবাজার) অর্ধশতাধিক কোয়াক কর্মকর্তা।