সাইফুল ইসলাম বাবুল :

একাদশ জাতীয় নির্বাচন হয়ে গেলো।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা ও আচরণে মনে হয় দেশ এগুবে। নিরংকূশ বিজয়ে দারুণ সন্তুষ্ট দলের লোকজন। তবে এ শিষ্ট পরিবেশ আদৌ থাকবে কি-না তা নিয়ে সংশয় দানা বাঁধতে শুরু করেছে।

ইতিমধ্যে কড়া নাড়ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। প্রথমে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। বিজয়ের সন্তুষ্টি এতোই জেকে বসেছে দলে অজনপ্রিয়,অযোগ্য, ধান্দাবাজ, সমাজে অশান্তি সৃষ্টিকারি,আত্ম প্রচার সর্বস্ব তথাকথিত নেতারা সরকারি দলের মনোনয়ন নিতে ব্যস্ত। তারা এক পা এগিয়ে ইতমধ্যে স্বঘোষিত প্রার্থী। এসব কিসের অশনি সংকেত !

তারা ভাবছে তাবিজের বলে বলীয়ান হয়ে নির্বাচনী বৈতরনী পার হবে। কিংবা নির্বাচিত এম পি র আশীর্বাদ বা উপর ওয়ালা নেতার কালো হাতের ছায়ায় বিজয় ছিনিয়ে আনবে। যেখানে জাতীয় নির্বাচন জয় করতে কতো গলদ ঘর্ম ঝরাতে হয়েছে তা কি একটু ভেবে দেখেছেন? জনতার কাছে গেলে যদি তারা অবৈধ উপায়ে নেয়া টাকা ফেরত চায়, মানুষকে সম্মানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়,দখল করা জমি ফেরত দিতে বলে। নির্যাতিতা বোনটি যদি প্রতিকার দাবী করে,অহংকারী মনোভাব যা মানুষের মনো কষ্টের কারণ হয় তারা যদি অন্তর থেকে প্রত্যাখান করে, আপনাদের আমজনতার সাথে তফাতে চলা ঠিকই নির্বাচনে দাড়ালে মনে করিয়ে দেবে।
তাই প্রশ্ন হতে পারে নিজ পাড়াতে মেম্বারে দাঁড়ালে জিতবেন কিনা?

কথায় কথায় তুখোড় নেতা, বলেন তো! কোন জায়গায় একটা সংগঠন করেছেন? কোন বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন? শিক্ষাগত যোগ্যতা কি তাও মিথ্যাভাবে প্রচার করেন। সারা দিনে অন্যের পকেটে নজর। নিজ গোলা থেকে এক মুষ্ঠি চাউল দান করছেন? যতটুকু হয়েছেন অন্যের আশর্বাদে।

আপনাদের মত লোক চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে, তবে! আমাদের নজদিগে খারাপ আছে। অনেক দিন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। সেই হিসাবে ভালো কাজের কোনো নজির আছে কি? পারিবারিক হিংস্রপনার জন্য আপনাদের সভাই ভয় পায়। তাই আপনাদের নাম উচ্চারণ এ মুহূর্তে করা যাচ্ছনা। অন্তত এ লেখনির মাধ্যমে আপানাদের কাছে মিনতি ক্ষমতা, পেশীশক্তির ভয় দেখিয়ে আমাদের প্রবিত্র আমানতে হাত দিবেননা। আপনাদের ঠিকরে রাখতে আমাদের দলের নেতার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন কি দেশ ও জাতির ক্ষতি করবেন?

বলেন তো কোন মিছিল থেকে আপনারা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন? ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য হেন হীন কর্ম নাই আপনারা করেন নাই। তাই দু চারটা ডাকাতির মামলা আপনাদের কপালে ছিলো জেল কেটেছেন সে সুযোগে আপনারা রাজ বন্ধীর বেশ ধরেছেন। এখন নির্যাতিত নেতা, তার উপর ভর করে আপনারা দলীয় পদ পেয়েছেন, পেয়েছেন বাড়ী-গাড়ী, কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স। তার পরও কি অতীতে কু কর্ম চচ্ছা করার জন্য আপনাদের জনপ্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন? আমজনতা হিসাবে আপনাদের পরিবর্তে একজন উচ্চ শিক্ষিত, সৎ রাজনীতি চচ্চা করে, লোকের ক্ষতির কারন হবেনা এমন লোক। যার কাছে সহজে যাওয়া যাবে এবং গেলেই সম্মান পাবে আর খারাপী যার কাছে ত্যাজ্য। পরধনের প্রতি যার লোভ থাকবেনা এমন লোককে দেখতে চাই।

মনে রাখা দরকার জোর করে সব হওয়া যায় কিন্তু জন প্রতিনিধি হওয়া যায়না। সেটা হৃদয়ের ব্যাপার। আসুন একজন সৎ, যোগ্য, নির্লোভ, নিরহংকার ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতি বিদকে জন প্রতিনিধিত্বে বসাই। আসবে পেকুয়ার সুন্দর আগামী।
পুনশ্চঃ কষ্ট পেলে ক্ষমা করবেন।