মো: ফারুক, পেকুয়া:
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের সাজুয়ারা বেগম, মোঃ হোছন, শিলখালী ইউনিয়নের মোঃ এহেছান, রাজাখালীর জোসনা আকতার, মগনামার আনার কলি, টইটংয়ের ছেনুয়ারা বেগম, আহমদ শফিসহ ১২৬ গৃহহীন পরিবার। বাড়ি করার জন্য অল্প জমি থাকলেও ছিলনা বাড়ি করার মত সামর্থ। ছেলে সন্তান নিয়ে কঠিন জীবন পার করছিল তারা। কখনো রোদে পুড়া আবার কখনো বৃষ্টিতে ভিজা ছিল নিত্যসঙ্গি।

সেই অনিশ্চয়তার জীবন ও অসহায় মানুষদের জন্য মাথা গোজার ঠাঁই করে দিলেন বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের বদান্যতায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার ১২৬ গৃহহীন পরিবার পেল মাথা গোজার ঠাঁই।

আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে সরকারের পক্ষে নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাহাবুবুল করিম, সহকারী কমিশনার(ভূমি), প্রকল্প কর্মকর্তা শুভ্রাত দাশ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রকল্পের মাধ্যমে ১লাখ টাকার সমপরিমাণ উপকরণসহ ১২৬ গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিন কথা হয় বারবাকিয়া ইউনিয়নের উপকারভোগী সাজুয়ারা বেগমের (৩৬) সাথে।

তিনি বলেন, বৃদ্ধ মা আয়েশা বেগমকে নিয়ে আমার সংসার। পিতা মৃত্যুর পর আমাদের জন্য রেখে যান ৮শতক জমি। জরাজীর্ণভাবে পলিথিনের ঘেরা দিয়ে ওই জমিতে কোন মতে আমরা থাকতাম। রোদ হলে রোদে পোড়তাম আর বৃষ্টি হলে বৃষ্টিতে ভিজতাম। খুব কষ্টে জীবন পার করছিলাম। স্বপ্ন ছিল পিতার জমিতে একটি বাড়ি করে মাকে নিয়ে সুঃখের সংসার করা। সেই স্বপ্ন পূরণ হল শেখ হাসিনার কারণে।

তার কারণে আমি ও আমার মা একটি বাড়ি পেলাম। বর্তমানে সরকারের দেওয়া বাড়িতে বসবাস করে নতুন সংসার শুরু করছি। বাড়ি না পেলে মনজুরের সাথে আমার সংসারও হতনা। যার দ্বারা আমরা বাড়ি পেয়েছি তার র্দীঘায়ু কামনা করছি।

শিলখালী ইউনিয়নের মোঃ এহেছান, রাজাখালীর জোসনা আকতার, মগনামার আনার কলি ও প্রতিবন্ধী ইউনুছ সরকারের পক্ষ থেকে প্রকল্পের মাধ্যমে নির্মিত ঘর পেয়ে বেশ খুশি। তারা বলেন, ৫সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে আমার সংসার। ১০শতক জমিতে একটি ভাঙ্গা কুঠির ছিল। সন্তানেরা রোদ বৃষ্টির জন্য লেখাপড়া করতে পারতনা।

যার কারণে অন্যের বাড়িতে আশ্রয়ের জন্য ছুটতে হত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে আমরা বাড়ি পেয়ে অনেক খুশি। আমরা কৃতজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বৃহত্ত এ প্রকল্পটির ১২৬টি বাড়ি পেকুয়ায় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিটি ইউনিয়নে নিরবে বাড়িগুলো বিতরণ করায় সাধারণ জনগণ জানেননা কার মাধ্যমে বাড়িগুলো এসেছে। বিগত সরকারের আমলের চেয়ে বর্তমান সরকারের আমলে পেকুয়ায় অসম্ভব উন্নয়ন হলেও প্রচার না হওয়ায় তা ঢাকা পড়ে যাচ্ছে।

প্রকল্প কর্মকর্তা শুভ্রাত দাশ বলেন, পেকুয়া উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ১১৫ গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি করে দেয়া হয়েছে। বাকি আছে সদর ইউনিয়ন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তালিকা আমাদের হাতে এসেছে। সদর ও উজানটিয়া ইউনিয়নে ১১ গৃহহীন পরিবারকেও দ্রুত বাড়ি করে দেয়া হবে। কোন ধরণের আনুষ্টানিকতা ছাড়াই বাড়িগুলো দেওয়া হয়েছে শুভ্রাত দাশ স্বীকার করেন।