পরিবর্তন ডটকম:

মামলা করে ভারত তাদের একটি অখ্যাত কোম্পানির কাছ থেকে নিম্নমানের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল কিনতে বাধ্য করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হোসেন।

শুক্রবার কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি একথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত থেকে যে ক্যাপসুল শিশুদের খাওয়ানোর জন্য আনা হয়েছে, এই কোম্পানির কোনো সুনাম নেই। আমাদের তারা নিম্নমানের ক্যাপসুল কিনতে বাধ্য করেছে। এসব ক্যাপসুল কৌটার সঙ্গেই লেগে আছে। আলাদা করা যাচ্ছে না।’

এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি কঠোর হস্তে দমন করা হবে জানিয়ে ডা. মুরাদ হোসেন বলেন, ‘আগামীকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। ক্যাপসুলের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সেই ক্যাম্পেইন স্থগিত করা হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মোর্শেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার আক্তার জামিল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক এমএ আফজল, সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান, স্বাচিপ সভাপতি ডা. দ্বীন মোহাম্মদ, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়া, বিএমএ সভাপতি ডা. মাহবুব ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল ওয়াহাব বাদল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল ইসলাম, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান, ডা. হালিমা আক্তার প্রমুখ।

পরে প্রতিমন্ত্রী কিশোরগঞ্জে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

তিনি ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুলের নমুনা পর্যবেক্ষণ করে আরও বলেন, ‘এ লাল ক্যাপসুল নিয়ে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। কেন এ রকম হলো পরীক্ষার পর তা বলা যাবে। তবে দেশের কোম্পানি থেকে কেনা সবুজ রঙের ট্যাবলেটে কোনো সমস্যা নেই।’